কুমিল্লায় টানা ভারী বৃষ্টি, জনগণের ভোগান্তি
কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুমিল্লায় টানা ভারী বৃষ্টিতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে নগরবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) ভোর বেলা থেকে কুমিল্লা নগরীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর সকাল ৬টার দিকে ভারি বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে। দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরছে।
সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর কান্দিরপাড় থেকে রাণীরবাজারমুখী সড়ক, অশোকতলা মোড় এলাকা, পুলিশ লাইন, রেসকোর্স, বাগিচাগাঁও, রাজগঞ্জ, ভাটপাড়া, ধানমন্ডি, বিসিক এলাকা, ঠাকুরপাড়া, সিটি কর্পোরেশন এলাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি স্থানে হাঁটু পানি জমে গেছে।
এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে নগরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে দিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে। তারপরও রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা পাওয়া যাচ্ছে না।
কুমিল্লা নগরীর ধর্মপুর ভিক্টোরিয়া কলেজ এলাকা থেকে কান্দিরপাড় এলাকায় অটোরিকশা করে যাচ্ছিলেন শাহাদাত হোসেন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এখান থেকে কান্দিরপাড় পর্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা, বৃষ্টিতে কান্দিরপাড়ে পানি জমায় সেখানে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।
কান্দিরপাড় এলাকায় কথা হয় বিশ্বরোড থেকে আসা আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিশ্বরোড থেকে কান্দিরপাড় পর্যন্ত অটোরিকশায় নিয়মিত ভাড়া ২০ টাকা। বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেটা ৩০ টাকা হয়ে গেছে। কী আর করব, গন্তব্যে তো পৌঁছাতে হবে।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিতে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় যানজট তৈরি হয়েছে। মূল রাস্তায় হাঁটু পানি। হেঁটে যাওয়ার উপায় নেই। রিকশায় ৫০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা। এমন অবস্থা জানলে আজ বাসা থেকে বের হতেন না বলে জানালেন অশোকতলা এলাকার বাসিন্দা নিয়াজ মাহমুদ।
রাস্তায় যানবাহনের চাপ কম থাকার পরও গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান বেশ কয়েকজন পথচারী। নগরীর ঠাকুরপাড়া এলাকায় সড়কে পানি জমে যাওয়ার কারণে আধা ঘণ্টা ধরে অপেক্ষার পরও রিকশা পাননি কবির হোসেন। তিনি বলেন, সড়কে যে পানি জমেছে, তাতে জুতা খুলে নিলেও প্যান্ট ভিজে যাবে। তিনি প্রতিদিন সকাল ৯টায় দোকান খোলেন। আজ এক ঘণ্টাও যেতে পারেননি। রিকশার অপেক্ষায় আছেন। রিকশা পেলে দোকানে যাবেন।
জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, এমন বৃষ্টিপাত আরও দু’-একদিন থাকতে পারে। জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। লঘু চাপের কারণে অসংখ্য মেঘমালা তৈরি হয়েছে, যার কারণে এমন টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আরও দু-এক দিন এভাবে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
রুবেল/বকুল