ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩২

সাংবাদিক তুরাব হত্যাকাণ্ড

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৯ আগস্ট ২০২৪  
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই  সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। ঘটনার এক মাস পর নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। 

সোমবার (১৯ আগস্ট)  সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে। এজাহারে আসামি হিসেবে পুলিশসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।

শুনানি শেষে মামলার এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলায় আরো আসামি করা হয়েছে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ক্রাইম উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউসার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মিজানুর রহমানসহ আরো অনেকে। 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট আওয়ামী লীগ দুর্বৃত্তরা ও অবৈধ সরকারের অপেশাদার পুলিশ ও দুর্বৃত্ত দ্বারা ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আসামিরা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে একজোট হয়ে বাদীর নিরপরাধ ছোট ভাই সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবকে হত্যা করে। এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে দুই প্রভাবশালী আসামি বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে আসামিরা রাষ্ট্রীয় প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাদীকে ঢাকায় নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করান।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকার কালেক্টরেট জামে মসজিদ এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের সংর্ঘষের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক তুরাব। হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিন পর তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে ৮-১০ জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ। 

পুলিশ ওই সময় জানায়, আগেই তাদের পক্ষ থেকে বিএনপি ও জামায়াতের ৩৪ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকশ লোককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফলে তুরাবের ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করেছেন তারা। তবে পরবর্তীতে জানা যায়, পুলিশের এজাহারে গুলিতে মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ নেই। এ ছাড়া পুলিশের এই মামলায় কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।  তাই বাধ্য হয়ে তুরাবের পরিবারকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল বন্দরবাজারস্থ কোর্ট পয়েন্টকে শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব চত্বর ঘোষণা করা হয়। সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ব্যানার টানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘তুরাব চত্বর’ নামকরণ করা হয়।


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়