ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩২

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাই-বোন ও ভাতিজার নামে মামলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২০ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১১:০৭, ২০ আগস্ট ২০২৪
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাই-বোন ও ভাতিজার নামে মামলা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাই আবদুল হক নূরু, বোন আছিয়া আলম (মাঝে) ও ভাতিজা শরিফ কামাল।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পৃথক মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাই-বোন, ভাতিজাসহ ৯২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরি এবং স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্ট মালিক ফারহান শিকদার পরাগ রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন বলে মিঠামইন থানার ওসি আহসান হাবিব নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মামলায় উল্লেখিত আসামিদের কাউকেই এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব‌্যাহত আছে। 

জানা যায়, বৈষম‌্যবিরোধেী ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিলে হামলা, মারপিট, ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক মামলা দুটি করা হয়। যেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছোট ভাই অধ‌্যক্ষ আবদুল হক নুরু, ছোট বোন মিঠামইন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম‌্যান আছিয়া আলম, ভাতিজা মিঠামইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম‌্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, হানিফ কামাল, তারেক কামালসহ পরিবারের বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। 

দুটি মামলার একটির এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিঠামইন উপজেলা বিএনপি ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং বৈষম‌্যবিরোধী ছাত্র ও সাধারণ জনতা বিজয় মিছিল বের করেন। মিছিলটি সদর বাজারের ফার্মেসি সড়কের মধ‌্যবর্তী একটি মিষ্টির দোকানের সামনে পৌঁছাতেই মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এলোপাথাড়ি মারপিট ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। 

আরেকটি এজাহারে উল্লেখ করা হয়, একইদিনে বিকেল ৬টার দিকে মিঠামইন নতুন কাঠবাজার সংলগ্ন পাঁচফোরণ রেস্টুরেন্টে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও মারপিট করেন। 

দুটি মামলা একটিতে প্রধান আসামি ও ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপরটিতে প্রধান আসামি ও ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রুমন/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়