লুটের মালামাল ফেরত দেওয়ার আহ্বান রাসিক প্রশাসকের
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন রাসিক প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নগর ভবন থেকে লুট করা মালামাল ফেরত দিতে আহ্বান জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। তিনি জানিয়েছেন, গত ৫ আগস্ট নগর ভবন থেকে লুট করা মালামাল ফেরত দেওয়া হলে ধন্যবাদ জানানো হবে। যারা ফেরত দেবেন না ফৌজদারী মামলা করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাসিক প্রশাসক বলেন, ‘আমরা এখনো লুট করা মালামাল ফেরত দেওয়ার সুযোগ দেব। যারা ফেরত নিয়ে আসবেন তাদের ধন্যবাদ জানানো হবে। যারা ফেরত দেবেন না তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।’
তিনি বলেন, ‘লুটতরাজ হলো ফৌজদারী অপরাধ। এই অপরাধ কখনো তামাদি (বাতিল) হয় না। যে কোনো সময় এই অপরাধের কারণে মামলা করা যায়। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে এটা (লুটপাট) কোন রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে রাজনৈতিক দলগুলোরও কোনো সমস্যা নেই বলে তারা জানিয়েছে। তাই ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আমরা এখনো মালামাল ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছি।’
অতীতে নগর ভবনে কোনো দুর্নীতি হলে তার দায় নেবেন না জানিয়ে নতুন প্রশাসক বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক নেতা নই। তাই অতীতে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে তার দায় আমি নেব না। আমি ব্যবস্থা নেব।’
তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট নগর ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হলেও তারা ইতোমধ্যে সব ধরনের নাগরিক সেবা দিতে শুরু করেছেন।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে বর্তমানে চারটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান। এরমধ্যে একটি প্রকল্প শেষের দিকে। তিনটির এখনো মেয়াদ আছে। এই প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করা যাবে। সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। প্রকল্পগুলোর অধীনে যদি অপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া থাকে তাহলে যাচাই-বাছাই শেষে তা বাতিল করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সিটি করপোরেশনে স্থায়ী ৩৫৩ জন ও অস্থায়ী ২ হাজার ৬৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা অভিযোগে অভিযুক্ত, বিতর্কিত এবং লাগাতার অফিসে অনুপস্থিত থাকছেন তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে। এই কার্যক্রমের জন্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, সচিব মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ সাইদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেয়া/মাসুদ