ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৮ ১৪৩১

সাবেক এমপি মঈনসহ আ.লীগের ১৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ২০ আগস্ট ২০২৪  
সাবেক এমপি মঈনসহ আ.লীগের ১৩৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ১৩৪ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ৪ আগস্টে উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলার বাহাদুরপুরের মৈশার গ্রামের হাসান মিয়া বাদী হয়ে ৮৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা এবং উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের রমজান আলী বাদী হয়ে ৪৭ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। উভয় মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়। মামলায় উপজেলার আশুগঞ্জ গোল চত্বর, চরচারতলা, সোনারামপুর, উজান-ভাটি হোটেল সংলগ্ন বাদশা বাড়ির মোড়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে।

উভয় মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন মঈন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছফিউল্লাহ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল সিকাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান কবির, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহিন সিকদার, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক, চরচারতলার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন খন্দকার, তালশহর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলেমান, তালশহর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সোলায়মান মিয়া, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান রাসেল মিয়া ও তাঁর আপন ভাই রোমান মিয়া।

উভয় মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট আশুগঞ্জ গোল চত্বর, উপজেলার চরচারতলা, সোনারামপুর, উজান-ভাটি হোটেল সংলগ্ন বাদশা বাড়ির মোড়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ১ দফা দাবির কর্মসূচি পালনের জন্য কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা জড়ো হন। ১ দফা দাবিতে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ামাত্রই সন্ত্রাসী আসামিরা ককটেল, বোমা, পিস্তল, দা, লাটিসোটা নিয়ে জড়ো হন। তারা হাতে থাকা কালো পলিব্যাগ থেকে ককটেল বের করে ছাত্র-জনতার উপর ছুঁড়ে মারে। বিকট শব্দে ঘটনাস্থল প্রকম্পিত হয় কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। বোমার আঘাতে ছাত্র-জনতা ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি সাধন করে এবং ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। আসামিরা কোমর থেকে পিস্তল বের করে ছাত্র-জনতার উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে উভয় মামলার বাদীর খালাত ভাই ফেরদৌস মিয়ার বাম হাতের কবজির উপর দুটি গুলি লাগে। আসামিরা এক পর্যায়ে পেট্রোল দিয়ে মামলার সাক্ষী ও পথচারিদের ৪০টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে ৯০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ স ম আতিকুর রহমান বলেন, দুই জন ব্যক্তি বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় ৮৭ জন ও আরেকটি মামলায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে। 
 

রুবেল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়