ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

বন্যার পানিতে ডুবে গর্ভবতীর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৯, ২১ আগস্ট ২০২৪  
বন্যার পানিতে ডুবে গর্ভবতীর মৃত্যু

বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া আখাউড়া উপজেলার বীরচন্দ্রপুর এলাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বীরচন্দ্রপুর গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে সুবর্ণা আক্তার (১৯) নামে এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সুবর্ণা আক্তার আখাউড়া উপজেলার বীরচন্দ্রপুর এলাকার পারভেজ মিয়ার স্ত্রী।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও লুৎফুর রহমান ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মো. জালাল উদ্দিন জানান, ঘরে আচমকা বানের পানি ঢুকে পড়ায় তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়েছিলেন সুবর্ণা। সেময় হোঁচট খেয়ে বন্যার পানিতে পড়ে ডুবে যান তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর তলিয়ে গেছে। পানি উঠেছে আশেপাশের অন্তত ৫০টি গ্রামে। পানির তোড়ে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষণ শুরু হয়। বুধবার সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৫০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। 

এর আগে মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। সাথে ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী।

দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, সকালে তীব্র বেগে ভারতীয় পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি উঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইউএনও গাজালা পারভীন জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী মিলে বাঁধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত যান চলাচলের উপযোগি করা যাবে না। অপরদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি ভারতের ত্রিপুরার চারটি নদীর পানি বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় একটি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে।

রুবেল/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়