ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৮ ১৪৩১

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ৫ বছর পর মামলা ভুক্তভোগীর

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২২ আগস্ট ২০২৪  
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ৫ বছর পর মামলা ভুক্তভোগীর

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মাহবুব হাসান

মাহবুব হাসান নামে একজন পুলিশ সদস্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) থাকাকালে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখান এবং পরে তার বাবার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। টাকা নিয়েও মাহবুব ওই ব্যক্তিকে ছাড়েননি। মিথ্যা মামলায় পাঠান কারাগারে। 

এমন অভিযোগে ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে নগরের গোরহাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মাসুদ রানা সরকার (৫৫) বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। 

মামলার একমাত্র আসামি মাহবুব হাসান এখন বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। নানা অভিযোগের কারণে আগেই পুলিশের চাকরি হারিয়েছেন মাহবুব হাসান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর তৎকালীন এসআই মাহবুব হাসান সাদাপোশাকে মাসুদ রানার বাড়ি যান এবং তার ছেলে রাজিব আলীর (৩১) মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে নগরের শিমলা বাগানে তুলে নিয়ে যান। এরপর মাহবুব হাসান রাজিবের বাবা মাসুদ রানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানান, এখনই ৫ লাখ টাকা না দিলে তাকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে।

ভয়ে মাসুদ রানা শিমলা বাগানে গিয়ে মাহবুব হাসানের হাতে ৫ লাখ টাকা তুলে দেন। এ সময় মাহবুব হাসান রাজিবের বাবাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। তিনি জানান, রাজিবকে তিনি বাড়ি পৌঁছে দেবেন। কিন্তু মাসুদ রানা চলে যাওয়ার পর মাহবুব হাসান তার ছেলেকে ছাড়েননি।

পরদিন তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। দীর্ঘ ১৬ মাস কারাভোগ করার পর রাজিব এই মামলায় জামিন পান। এরপর মাহবুব হাসানের সঙ্গে দেখা হলে মাসুদ রানা টাকা ফেরত চান। তখন তিনি টাকা ফেরত দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। সর্বশেষ একমাস আগে পুলিশের বরখাস্তকৃত এই এসআইয়ের সঙ্গে নগরের রেলগেট এলাকায় দেখা হলে তিনি টাকা ফেরত চান। তখন মাহবুব হাসান মারমুখী আচরণ করে বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করেছেন। টাকা চাইলে মেরে ফেলা হবে বলে তিনি ভয় দেখান। তাই মাসুদ রানা এই মামলা দায়ের করেছেন।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলাটি তদন্তের জন্য থানার এসআই তাজউদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কেয়া/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়