ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

নোয়াখালীতে দেখা মিলেছে সূর্যের, কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি 

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ২৩ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৩:১৩, ২৩ আগস্ট ২০২৪
নোয়াখালীতে দেখা মিলেছে সূর্যের, কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি 

বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে গতি খুবই কম। এখনো পানিবন্দি হয়ে আছে জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। দীর্ঘ আট দিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে তা স্থায়ী নয়। কখনো দেখা দিচ্ছে সূর্য, আবার কিছুক্ষণ পরে দেখা যাচ্ছে মেঘ। 

এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে সহায়তা। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রথমে নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পরে ফেনীর মুহুরী নদীতে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা নোয়াখালীতে প্রবাহিত হয়ে বন্যায় রুপ নেয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ।

জেলা প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, জেলার প্রায় ৫০০ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৫ হাজারের মতো বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

এছাড়া বন্যায় ভেসে গেছে ৮ উপজেলার কয়েক হাজার মাছের খামার, মুরগি খামার, আমনের বীজতলা, শাকসবজির মাঠ। পানি জমে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন কয়েকটি এলাকা।

সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের কৃষক মো. সিরাজ উদ্দিন বলেন, আমনের বীজ রোপণ করেছি। তারপর থেকে টানা বৃষ্টি। বীজগুলো সম্পূর্ণ পানির নীচে রয়েছে। এখন উপরওয়ালার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। সামনের মৌসুমে কি অবস্থা হবে জানিনা।

একই উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের আবদুল মান্নান বলেন, মাঠে শাক-সব্জির চাষ করেছি। এখন পানিতে তা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার ইকবাল হোসেন বলেন, অবশেষে আল্লাহর অশেষ রহমতে সূর্য দেখা গেছে। তবে তা ক্ষণস্থায়ী। কখনো সূর্য, কখনো আবার মেঘ।

সুবর্নচর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল অমিন সরকার বলেন, বৃষ্টিপাত, জোয়ার ও ফেনী থেকে আসা পানির চাপ- সবকিছু মিলিয়ে বন্যা পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছিলো। এখন বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে।

সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আঁখি নুর জাহান নীলা বলেন, উপজেলার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দি। মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকলের প্রতি বানবাসি মানুষের পাশে দাাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জেলার ৮ উপজেলার মানুষ এখনও পানিবন্দি। সহায়তা হিসেবে ৫০৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছি। একসাথে প্রায় ২৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে অসহায়দের মাঝে। আরো ত্রাণ নিয়ে ঢাকা থেকে গাড়ি এসেছে। এগুলো খুব দ্রুতই বানভাসিদের মাঝে বিতরণ করা হবে। একই সাথে তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, মানবতাবাদী সংগঠন ও ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশা-বিত্তশালীসহ সকলের প্রতি বানভাসিদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।

সুজন/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়