খুলনায় টানা ভারী বৃষ্টি, জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
খুলনা শহরে জলাবদ্ধতা
খুলনা শহরের রাস্তাঘাট ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) ভোর থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। এর আগে, শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতেও বৃষ্টিপাত হয়।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় থাকায় এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত থেকে রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ মিলিমিটার। আর সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নগরীর খালিশপুর মুজগুন্নি মহাসড়ক, বাস্তহারা কলোনি, রায়েরমহল, কেডিএ অ্যাভিনিউ, সাতরাস্তা, রয়েল চত্বর, বাইতিপাড়া, মৌলভীপাড়া টিভিবাউন্ডারী রোড, পিটিআই মোড়, রূপসাসহ বেশকিছু নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
সড়কে জলাবদ্ধতা থাকায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। সড়কে যানবাহনের উপস্থিতি তুলনামূলক কম হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরীর রয়েল মোড়, বাইতিপাড়া সড়ক, সাতরাস্তা, বড় মির্জাপুর, টুটপাড়া এলাকায় সড়ক তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক তলিয়ে যাওয়ার কারণে যানবাহন নিয়ে চালকেরা দুর্ভোগে পড়েছে। অনেক গাড়ির ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করায় বিকল হয়ে গেছে। অনেককে গাড়ি ঠেলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। ফুটপাত দিয়েও অনেককে হালকা যানবাহন চালাতে দেখা যায়।
ভ্যানচালক শাহজাহান বলেন, ‘ভোর থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে খুলনা শহরের অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে গেছে। ভ্যানভর্তি কাঠ নিয়ে আসছি। পানিতে ভ্যান চালাতে পারছি না। এ জন্য ঠেলে নিয়ে যাচ্ছি। খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
নগরীর মাওলাবাড়ি খালপাড় এলাকার বাসিন্দা মো. নাজমুল বলেন, ‘বৃষ্টিতে পানির জন্য আমরা বাসা থেকে রাস্তায় বের হতে পারছি না। চাকরি করি। সেখানেও যেতে পারছি না। চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে।’
নগরীর রায়েরমহল এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, নগরীর মুজগুন্নি, পুলিশ লাইন, রায়ের মহল, বয়রা এলাকায় সড়কে অনেক পানি জমেছে। সেইসঙ্গে বাসাবাড়িতেও পানি প্রবেশ করছে। চলাচলে অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
নুরুজ্জামান/বকুল