গৃহবধূর মরদেহ পৌঁছে দিতে এসে আটক স্বামী-শাশুড়ি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
মারা যাওয়া গৃহবধূ সাবিকুন্নাহার পপি
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সাবিকুন্নাহার পপি (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন স্বামী ও শাশুড়ি। বুধবার (২৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
স্বজনদের দাবি, গতকাল মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভাড়া বাসায় পপিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- নিহত পপির স্বামী রায়হান পারভেজ (৩২) ও শাশুড়ি আবেদা খাতুন (৫৫)। তাদের বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি গ্রামে।
মারা যাওয়া পপি শংকরপাশা গ্রামের হাবিবুর শিকদারের মেয়ে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে রায়হান পারভেজ শ্যালক সোহাগকে ফোন করে জানান, পপি জ্ঞান হারিয়েছে। খবর পেয়ে সোহাগ ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের উদ্দেশে রওনা হন। কিছুক্ষণ পর খবর আসে পপি মারা গেছেন। মরদেহ নিয়ে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাশিয়ানীর উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। দুপুর ২টার দিকে পপির মরদেহ নিয়ে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাশিয়ানীর শংকরপাশায় এসে পৌঁছান। চলে মরদেহ দাফন-কাফনের প্রস্তুতি। সে সময় পপির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান স্বজনরা। সন্দেহ হলে তারা রায়হান ও তার মা আবেদা খাতুনকে আটক করেন। আজ বুধবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পপির স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পপির মা রিজিয়া বেগম বলেন, ‘দেড় বছর আগে রায়হান ও পপির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রায়হান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। চাকরির সুবাদে তারা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা নেওয়ার জন্য পপিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। পপিকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে রায়হান ও তার পরিবারের লোকজন। মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান জানান, মারা যাওয়া নারীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুই জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানায় হবে।
বাদল/মাসুদ