ঢাকা     শনিবার   ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ৩০ ১৪৩১

গাজী টায়ার কারখানা 

ফ্লোর ধসে যাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম এখনই সম্ভব নয়: তদন্ত কমিটি

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৬, ২৮ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ২২:১৩, ২৮ আগস্ট ২০২৪
ফ্লোর ধসে যাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম এখনই সম্ভব নয়: তদন্ত কমিটি

রূপগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার কারখানা পরিদর্শন করেছে তদন্ত কমিটি

রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান বলেছেন, ‘আমি ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন কিনা সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন, ভবনের ৪, ৫ এবং ৬ তলার ফ্লোর ধসে গেছে। এখনো আগুন রয়েছে। এ মুহূর্তে উদ্ধার কার্যক্রম সম্ভব নয়।’ 

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে তদন্ত কমিটির ৮ সদস্য পুড়ে যাওয়া ভবনটি পরিদর্শনে আসেন। পরে কমিটির প্রধান হামিদুর রহমান সাংবাদিকদের একথা বলেন।

হামিদুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি আজ পুড়ে যাওয়া ভবনটি প্রাথমিকভাবে পরিদর্শণে আসলাম। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে টেকনিশিয়ানরা আমাদের মতামত দেবেন। লোকাল যারা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে রয়েছেন তারা উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে পারবেন কিনা তা জানাবেন। নয়তো আমরা ন্যাশনালি সাপোর্টের জন্য সুপারিশ জানাবো, যে এটা লোকালি করা সম্ভব নয়। আরো যারা টেকনিশিয়ান রয়েছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে কার্যক্রম চালাবো। আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবো।’

নিখোঁজদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিখোঁজদের নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করে রাখছি। কতোজন কারখানার ভেতরে ছিলেন বা কতোজন মারা গেছেন আমরা সঠিকভাবে বলতে পারছি না।’

হামিদুর রহমান আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ড্রোন দিয়ে ভবনের ভেতর দেখেছে। তারা কোনো মৃতদেহ দেখননি। এখানে অনেক বেশি কেমিক্যাল পুড়েছে। মরদেহ থাকলেও সেইভাবে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারাণ ২১ থেকে ২২ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলেছে। অথচ, ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যেই লাশ কয়লা হয়ে যাওয়ার কথা। তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগিতা নেওয়া হবে। ভেতরে কী হয়েছে বা বর্তমানে কী আছে এ বিষয়টি উদঘাটনের চেষ্টা করবো।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, প্রায় ১৭৬ জনের মতো লোক ভেতরে ছিলো বলে আমরা স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি। যারা নিখোঁজ রয়েছেন স্বজনদের মাধ্যমে তাদের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- তদন্ত কমিটির সদস্য নারায়ণগঞ্জ গ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তরের উপ-মব্যবস্থাপক রাজিব চন্দ্র ঘোষ, নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস এন্ড টি এন্ড টি কোম্পানির ব্যবস্থাপক মঞ্জুর আজিজ, নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর উপ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী হরেন্দ্র নাথ বর্মন, নারায়ণগঞ্জ-২ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান ও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেল।

অনিক/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়