ঢাকা     শনিবার   ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ৩০ ১৪৩১

কুমিল্লায় প্লাবিত এলাকায় শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়েছে 

রুবেল মজুমদার, কুমিল্লা   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ২৮ আগস্ট ২০২৪  
কুমিল্লায় প্লাবিত এলাকায় শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়েছে 

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের প্রবল স্রোতে কুমিল্লার উপর দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢোকে। এতে বিশুদ্ধ পানির অভাবে পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর পাশাপাশি জ্বর, কাশি, সর্দি বেড়েছে। এতে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। 

বেশিরভাগ রোগী শ্বাসকষ্ট, কাশি, গলাব্যথা, বুকে ব্যথা, হাঁচিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। বুধবার (২৮ আগস্ট) কুমিল্লার বুড়িচংয়ের বন্যাদুর্গত রাজাপুর ইউনিয়নের দুর্গম আশ্রয়কেন্দ্র সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার লড়িবাগ প্রাইমারি স্কুলে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক তানভীর আহাদ জয় ও ডা. সাবরিনা মনসুরসহ একটি দল।

এ সময় মেডিকেল টিমের সদস্যরা জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কয়েকটি দল বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে বুড়িচংয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগে তারা সেবা দিচ্ছেন। 

তারা আরও জানান, এখন পর্যন্ত ১০২ জন রোগীর মাঝে বেশিরভাগ শিশু ও নারী পেয়েছেন। তারা ঠাণ্ডাজনিত, বিশেষ করে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত। পায়ের ও হাতের বিভিন্ন অংশে কাটা-ক্ষতের রোগীও আসছে। 

এ মেডিকেল টিমের সহযোগী ঢামেকের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল বিন কাশেম বলেন, ‘আমরা যতটুকু পারছি, আক্রান্তদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো অন্ততঃ দিতে পারছি।’ 

লড়িবাগ এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বন্যার পানিতে আটকা পড়ায় ওষুধ ও ডাক্তার পাচ্ছিলাম না। বাচ্চাদের জ্বর, শ্বাসকষ্ট ছিল। আমার বৃদ্ধ মাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখানে চিকিৎসা করাতে পারলাম। যারা ত্রাণ দিতে আসছে, তারা প্রয়োজনীয় কিছু ঔষধ দিলে ভালো হতো।’

জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আকতার বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় মেডিকেল টিম কাজ করছে। কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত চিকিৎসার অভাবে কেউ মারা যায়নি। গর্ভবতীদের বিশেষভাবে এনে ডেলিভারি করানো হয়েছে। জ্বর, কাশি থাকলে, এগুলোর জন্যও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

এখন পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দিতে পারছেন বলে জানান তিনি।
 

/বকুল/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়