ঢাকা     শনিবার   ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ৩০ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনাসহ ৫৪ জনের নামে হত্যা মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৯, ২৯ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৪:২১, ২৯ আগস্ট ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনাসহ ৫৪ জনের নামে হত্যা মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় জহিরুল ইসলাম হত্যায় তার বড় ভাই বাবুল মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। 

২০২১ সালের ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউপির নন্দনপুর বিসিক রাস্তার সামনে সংঘর্ষের সময় জহিরুল ইসলাম নিহত হয়। জহিরুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সুহিলপুর ইউপির হাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন। মামলায় ৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সংসদ সদস্য মাইনুদ্দিন মইন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ড. আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন, শফিউল আলম লিটন, এহতেশামুল বারী তানজিল, তানজিল আহম্মেদ, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফি উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হানিফ মুন্সি, জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুকাই আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম. সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, শহর যুবলীগের সভাপতি আল-আমীন সওদাগর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার হাসানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় বাবুল মিয়া অভিযোগ করেন, মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির সময় জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল হয় ও মিছিলে জহিরুল ইসলাম অংশগ্রহণ করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে বাকী আসামিরা আন্দোলনকারীদের উপর গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে। তাদের ছোড়া গুলি, ককটেল ও বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে জহিরুল ঘটনাস্থলে মারা যায়। ওই সময় পুলিশ ও প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি।

রুবেল/টিপু     


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়