ঢাকা     শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

কক্সবাজারে ১০০ ইলিশের দাম দেড় লাখ টাকা

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ৩০ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৭:৩৫, ৩০ আগস্ট ২০২৪
কক্সবাজারে ১০০ ইলিশের দাম দেড় লাখ টাকা

ইলিশ

সাগর থেকে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন কক্সবাজারের জেলেরা। শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে চড়া দামে বেচাবিক্রি হচ্ছে এই মাছটি। সেখানে এক কেজি ওজনের ১০০ পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় লাখ টাকায়।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২টি ট্রলার ২৫ থেকে ৩০ হাজার ইলিশ নিয়ে ঘাটে ভিড়েছে। ট্রলার থেকে ডিঙি নৌকায় নামিয়ে ইলিশ মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে নিয়ে যেতে দেখা যায় জেলেদের। সেখানে ১ কেজি ওজনের ১০০ পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় লাখ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি ওজনের একটি ইলিমের দাম পড়ছে ১৫০০ টাকা। ট্রলার মালিকদের কাছ থেকে পাইকারি দরে মাছগুলো কিনছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া ৯০০ গ্রাম ওজনের ১০০টি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২৫ হাজার থেকে থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। ৮০০ গ্রাম ওজনের ১০০টি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায়।

এদিকে, ঘাটে ট্রলার কম আসায় মাছের দাম একটু বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একযোগে বেশি ট্রলার ঘাটে ফিরলে মাছের দাম কমে যাবে বলেও জানান তারা।

আরো পড়ুন:

কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মাহমুদুল আলম বলেন, ‘মাছ কম বলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এই মাছ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে খরচ বেশি হচ্ছে। পরিবহন খরচ, লেবার (শ্রমিক) খরচসহ ধরলে মাছের দাম হয়ে যায় আকাশচুম্বি। যদি ঘাটে একযোগে বেশি ট্রলার মাছ নিয়ে আসে তবে কম দামবে।’ 

নতুন বাহারছড়া এলাকার মেহেদি হাসান বলেন, ‘৭৫০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ১২০০ টাকায় কিনলাম। বাচ্চারা ইলিশ খাবে বায়না ধরায় এতো বেশি দামে মাছটি কিনতে হলো। ঘাটে ট্রলার বেশি এলে ইলিশের দাম কমে।’ 

‘এফবি মায়ের দোয়া’ ট্রলারের মালিক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আজ সকালে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার ইলিশ নিয়ে ১২টি ট্রলার ঘাটে এসেছে। অন্য ট্রলার না আসার কারণে তুলনামূলক মাছ কম হওয়ায় দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ইলিশ ছাড়াও টুনা, কোরাল, লইট্যা, ফইস্যা, চাপিলা, পোয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছ বোঝাই ট্রলার নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা।’

‘এফবি রায়হান’ ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ছিদ্দিক বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে ২০ জন জেলে ও রসদসহ ট্রলার নিয়ে বের হই আমরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইঞ্জিন চালিয়ে মাঝসাগরে গিয়ে জাল ফেলি। কয়েক দফা জাল ফেলার পর আশানুরূপ ইলিশ নিয়ে উপকূলে ফিরেছি।’ 

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞার পর আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে জেলেরা সাগরে যাচ্ছেন। জেলেদের জালে ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়ছে।  সাগরে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে আরও মাছ ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়