ঢাকা     শনিবার   ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ৩০ ১৪৩১

কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণায় জটিলতা

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০২, ৩০ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ২২:৩৩, ৩০ আগস্ট ২০২৪
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণায় জটিলতা

কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। 

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে তিনি রানওয়ে, লাইটিং সিস্টেম, রক্ষা বাঁধ, টার্মিনালসহ জমি জটিলতার বিষয়গুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন।

এই রানওয়েকে আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষণা দিতে এখনো কিছু জমি সংক্রান্ত জটিলতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নীত করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ ৮৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৯ হাজার ফিট রানওয়ের প্রস্তুত আছে। আরও ১ হাজার ৭০০ ফিট রানওয়ে নতুন করে করা হয়েছে। সর্বমোট ১০ হাজার ৭০০ ফিট রানওয়ে হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ রানওয়ে হবে। এ ছাড়া সাগরের মধ্যে যে রানওয়ে নিমার্ণ হয়েছে, সেখানকার লাইটিং সিস্টেম ও রক্ষা বাঁধ নিয়ে জাপানের একটি কোম্পানি কাজ করেছে। যা অত্যন্ত ভাল হয়েছে।

‘এখন যে পেসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে, সেটি ভবিষ্যতে ডমেস্টিক টার্মিনাল হয়ে যাবে। এটির কাজও ৯৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। উপরে ঝিনুকের আদলে অবকাঠামো ও ভেতরে আর কিছু কাজ বাকি আছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রূপায়নে আমরা আরও একটি আধুনিক পেসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ করব। এছাড়া বর্তমান টাওয়ার ভবনটিও আমরা ভেঙে ফেলবো। এখানে এয়ার ক্রাফট দাঁড়াবে। ডলারের পরিস্থিতির কারণে আমাদের পেমেন্ট আটকে ছিল। এ জন্য কাজও কিছুটা পিছিয়ে গেছে। আমরা বিদেশি কোম্পানিগুলোকে কথা দিয়েছি, টাকার জন্য চিন্তা না করতে। আমরা সময়মতো সব টাকা পরিশোধ করব।”

তিনি আরও বলেন, এই রানওয়েকে আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষণা দিতে এখনো কিছু জমি সংক্রান্ত জটিলতা আছে। তারমধ্যে একটি পুরাতন ঝিনুক মার্কেট। এখানকার ব্যবসায়ীদের আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারা এখনো সরছে না। এছাড়া যেখানে আমাদের মূল টার্মিনাল হবে, সেখানে এখনো অনেক মানুষ বসবাস করছে। তাদেরও খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তাদের জন্য আমরা বাঁকখালী নদীতে নতুন করে সেতুও নির্মাণ করেছি। তবুও কিছু মানুষ সরছে না। এ ছাড়া পিডাব্লিউডিকেও আমরা চিঠি দিয়েছি। এ জন্য আমাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। আমরা চূড়ান্তভাবে অপারেশনে যেতে না পারলে সেটি প্রকৃত অর্থে দেশেরই ক্ষতি হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিভিল এভিয়েশনের অপরাশেন এন্ড প্লানিং মেম্বার এয়ার কমোডর এএফএম আতিকুজ্জামান, এডমিন মেম্বার আবু সালেহ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খান, এটিএম মেম্বার এয়ার কমোডর একেএম জিয়াউল হক, ফিন্যান্স মেম্বার এসএম লাভলুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আফরোজ ও কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইউনুছ ভূঁইয়া।

তারেকুর রহমান/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়