কুমারখালীতে শিক্ষক ও গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে এক শিক্ষক এবং গৃহবধূকে সারা রাত গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩১) সকালে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। উপজেলার সদকী ইউনিয়নের ঘাসখাল গ্রামে ঘটনাটি হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের গ্রামের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। গৃহবধূর বাড়ি কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নে।
এলাকাবাসী জানান, গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় হকারের কাজ করেন। শহিদুল দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে এসে গৃহবধূর নবম শ্রেণি পড়ুয়া সন্তানকে প্রাইভেট পড়ান। এসময় গৃহবধূ ও শিক্ষকের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শিক্ষক গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করেন। স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের আটক করেন। পরে লোকজন দুই জনকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করেন।
ভুক্তভোগী মাদরাসা শিক্ষক জানান, প্রাইভেট পড়াতে এসে তিনি ছাত্রের মায়ের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। শুক্রবার রাতে ছাত্রের বাড়িতে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদের গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়েছে।
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, ‘লোকমুখে ও ফেসবুকের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। তাদের মারধরও করা হয়েছে। তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এক মাদরাসা শিক্ষক ও নারীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন সাধারণ মানুষজন। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।’
কাঞ্চন/মাসুদ