জামালপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩০
জামালপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
সংঘর্ষে আহত একজনকে কোলে করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
জামালপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে দলটির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। টানা দুই ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে পাঁচটি গাড়ি ও পাঁচটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে শহরের দেওয়ানপাড়ায় সংঘর্ষ হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। আর পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন তারা।
নেতাকর্মীরা জানান, দেওয়ানপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে তারেক রহমানের সঙ্গে ময়মনসিংহ অঞ্চলের নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করে জামালপুর জেলা বিএনপি। কনফারেন্সে অংশ নিতে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি, বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ, ফিরোজ মিয়া, আরমান ও আনিসুর রহমান বিপ্লব নিজেদের লোকজন নিয়ে আসেন। কমিউনিটি সেন্টারে প্রবেশের সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি হয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে জেলা সেচ্ছোসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল মোমেন আকন্দ কাউসার, সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম কর্নেল, জেলা মৎসজীবী দলের সভাপতি আব্দুল হালিম, শহর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, জেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম সুমন, জনি, সাইফুল,
শাকিল ও শফিউর রহামান শফিসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সম্পাদক নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, ‘বৈঠকে জেলা বিএনপি ক্রাইটেরিয়া যদি সুষ্ঠুভাবে করতো তাহলে আমাদের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে পারতেন। ক্রাইটেরিয়া সুষ্ঠুভাবে হয়নি। তাই নেতাকর্মীরা প্রবেশ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।’
জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘একটি মহল চেষ্টা করেছে উত্তেজনা তৈরি করে জামালপুরে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য। আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবো। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, আমরা সাংগঠনিক রীতি অনুযায়ী কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করবো।’
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, ‘একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শোভন/মাসুদ