ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

বন্যায় বিপর্যস্ত জনপদ

ফেনীর এক সড়কেই ১৭ স্থানে ভাঙন

ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:৪১, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফেনীর এক সড়কেই ১৭ স্থানে ভাঙন

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনীর জনজীবন। এবারের বন্যার ক্ষয়ক্ষতি এ জেলার পূর্বের সকল ইতিহাসকে ছাপিয়ে গেছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ছিলো ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মাছের ঘের ও ফসলি জমি। 

বন্যা পরবর্তীতে পানি সরে যাওয়ার পর বেশিরভাগ উপজেলার গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা দৃশ্যমান হচ্ছে। তেমনি একটি সড়ক জেলার ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের প্রধান সড়ক। শুধুমাত্র একটি সড়কেই ১৭টি স্থানে ভাঙনের চিত্র দেখা গেছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় মানুষজন। এটি দরবারপুর থেকে শ্রীচন্দ্রপুর যাওয়ার অন্যতম সড়ক হিসেবে পরিচিত।  

সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যার পানির প্রবল স্রোতে দরবারপুর থেকে শ্রীচন্দ্রপুর পর্যন্ত সড়কের ১৭টি অংশে ভেঙে গেছে। তীব্র স্রোতের সঙ্গে তলিয়ে গেছে সড়কের পাশে থাকা দোকানপাট-ঘরবাড়ি। চলাচলের জন্য কয়েকটি অংশে বাঁশ বেঁধে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন স্থানীয়রা। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষরা ত্রাণ সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। 

আলী হোসেন নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা বলেন, শ্রীচন্দ্রপুর থেকে দরবারপুর পর্যন্ত চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে। পানির তীব্র স্রোতে সড়ক ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় বন্যাদুর্গত হয়েও ঠিকভাবে সহায়তা পাচ্ছি না। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে।   

বয়োবৃদ্ধ আবদুল আউয়াল নামে আরেকজন বলেন, ৭৩ বছর বয়সের মধ্যে এমন ভয়াবহ বন্যা আর কখনো দেখিনি। ঘরের মধ্যেই পানিতে ঠাঁই পাইনি। প্রবল স্রোতে মুন্সিরহাট থেকে আসা এই সড়কটি একদম শেষ হয়ে গেছে। সড়কের পাশে থাকা দোকানপাট-ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রুত মেরামত করা না হলে মানুষজন অনেক কষ্টকর করবে।  

নাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক বলেন, এতোবড় দুর্যোগ এখানকার মানুষ আর কখনো দেখেনি। এ রাস্তাটি সংস্কার করে দ্রুত চলাচলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। ভেতরের এলাকায় রাস্তা ভাঙা থাকায় ঠিকভাবে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। 

এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আসিফ মাহমুদ বলেন, জগতপুর-মনিপুর সড়কটি উপজেলা এলজিইডির এক নম্বর তালিকাভুক্ত সড়ক ছিল। বন্যায় এটি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইভাবে উপজেলার প্রায় সবগুলো সড়ক বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারমধ্যে যেগুলো একদম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তা পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে সড়কগুলো মেরামতের জন্য আলোচনা চলছে। 

সাহাব/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়