ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

বেনাপোল স্থলবন্দরের দুই উপপরিচালক বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২২:২৮, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বেনাপোল স্থলবন্দরের দুই উপপরিচালক বরখাস্ত

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের দুই উপ-পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়ারা হলেন- বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপ-পরিচালক (প্লানিং) মো. কবির খাঁন।

বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, মো. মনিরুল ইসলাম ২০২২ সালের ১ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে যোগ দেন। সেই সময় থেকেই তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানিকৃত প্যারিশেবল (পচনশীল) পণ্য ওজনে ডিজিটাল কারচুপি শুরু করেন।  ভারত থেকে সেসময় প্রতিদিন গড়ে ১০০-১৫০ ট্রাক পচনশীল পণ্য যেমন-

আরো পড়ুন:

মাছ, ফল, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো ইত্যাদি আসতো। কাস্টমসের কতিপয় কর্মকর্তা ও কতিপয় অসাধু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীর যোগসাজশে ওজন স্কেলে ডিজিটালি কারচুপি করে (ওজন স্কেলের সফটওয়্যারের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ) প্রতি ট্রাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিন টন পণ্যের ওজন কম দেখানো হতো। 

প্রতি টন পণ্যের শুল্কায়ন ৮০ থেকে এক লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিতো এই চক্র। আর ফাঁকি দেওয়া সেই রাজস্ব তিনটি জায়গায় আনুপাতিক হারে বণ্টন হতো। এভাবে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতো অসাধু চক্রটি।

সূত্র জানায়, মো. মনিরুল ইসলাম বেনাপোল থেকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া টাকার একটি অংশ পৌঁছে দিতেন উপ-পরিচালক কবির খাঁনের কাছে। তাদের যোগসাজসে এই চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলো। তাদের অপকর্ম প্রকাশ হলেৎ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর। 

চলতি বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে (স্মারক: ১৮.১৫.০০০০.০২০.১২.০০৮.১৯.৬৩৫) জানানো হয়, ওজন স্কেলে কারচুপির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন, দুর্নীতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং, অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার ইত্যাদির কারণে উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপ-পরিচালক (প্লানিং) মো. কবির খাঁনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, তাদের দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে। আমাদের সবার উচিৎ বেনাপোল স্থলবন্দরকে বাঁচানো।

রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়