ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধর্ষণের পর এক নারীকে হত্যার দায়ে চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে অন্য ধারায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে চার জনকে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আখিরা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে হেলাল আলী (৪০), ওই এলাকার মো. মন্টুর ছেলে মোহাম্মদ আলী ওরফে সাদ্দাম (৩৬), মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মো. আওয়াল হোসেন (৫০) ও আতাউর রহমনের ছেলে আব্দুল জলিল (৪০)। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক বলেন, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ২৬ বছরের এক নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করে আসামিরা তাকে আখিরা এলাকার একটি আখ খেতে ফেলে রাখেন। খবর পেয়ে ১০ আগস্ট পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। ওই দিনই নিহতের বাবা মো. আলাউদ্দীন শিবগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র উপ-পরিদর্শক মো. সাইদুর রহমান ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল আট জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তিনি আরও বলেন, শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যা মামলায় আসামি হেলাল আলী, মোহাম্মদ আলী ও আওয়াল হোসেনকে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর আসামি আব্দুল জলিলকে যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আইজীবী বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আরও একটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদলত। রায়ে উল্লেখ আছে- দণ্ডিতদের সব সাজা একসঙ্গে ভোগ করতে হবে।