ঢাকা     সোমবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

চাঁদপুরে জাল সনদে নিয়োগ নেন যুবলীগ নেতা

চাঁদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৯, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
চাঁদপুরে জাল সনদে নিয়োগ নেন যুবলীগ নেতা

ফাইল ফটো

চাঁদপুর সদরে জাল সনদে বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার’ পদে নিয়োগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ কাউছার খানের বিরুদ্ধে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই পদের এক প্রার্থী এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে আবেদন করেন ওই স্কুলে খণ্ডকালীন পদে থাকা মুহাম্মদ কাউছার খান। পরবর্তীতে তার নিয়োগ হলেও প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে এমপিও (ইনডেক্স) হচ্ছিল না। একপর্যায়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারে জাল সার্টিফিকেট হওয়ায় ইনডেক্স পড়ছে না। প্রায় দুই বছর পর একটি চক্রের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে ইনডেক্স হয় তার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাউছার খান নিয়োগ পান ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এমপিও হয় ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কাউছার খান সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে চাকরি করলেও নিজেকে শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং লিপ্ত চিলেন কোচিং বাণিজ্যে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ কাউছার বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতাম। আর যুবলীগের সহ-সভাপতির পদ আমাকে জোড় করে দেওয়া হয়েছিল। এ সময় জাল সনদের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মুকবুল হোসেন বলেন, ওই সময়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন সেলিম খান। তার নির্দেশে মুহাম্মদ কাউছার খানের নিয়োগ হয়েছে। পরবর্তীতে কাউসারের সনদপত্র উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে পাঠানোর পরে জালের বিষয়টি জানতে পারি। যে কারণে আমি আর কাগজপত্র কুমিল্লায় পাঠাইনি। কিন্তু কাউসার তদবির করে অন্যদের সহযোগিতায় কাগজপত্র এমপিও করার জন্য পাঠায়। এরপর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হওয়ায় আমার আর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ ছিল না।

বহরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক ইমান হোসেন বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে কাউছার খানের নিয়োগ হয়েছে। এই বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই। তবে তিনি সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদের হলেও শিক্ষক কম থাকায় ক্লাস নিতেন।

চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। আর এসব নিয়োগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ। তারপরও আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অমরেশ/কেআই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়