ঢাকা     সোমবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১ ১৪৩১

গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে নজর কেড়েছেন দুই ভাই

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৩:২৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে নজর কেড়েছেন দুই ভাই

মো. সমুজ আলী ও মো. সনজব আলী দুই ভাই। তারা মিলে বাহুবলের ভুলকোট গ্রামে প্রায় ৩৬ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন সিকৃবি-১ জাতের শিম চাষ করেছেন। শিমের ফলন ভালো হয়েছে। শিমের পাশাপাশি একই জমিতে বরবটি ও চিচিঙ্গার চাষও করেছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুই ভাই মিলে শিম ক্ষেতে কঠোর পরিশ্রম করছেন। গাছ থেকে শিম সংগ্রহ করে প্রস্তুত করছেন বিক্রির জন্য। শুধু তারা নয়, অন্যন্য কৃষকরাও এ জাতের শিম চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।

সমুজ  আলী ও সনজব আলী জানান, সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ক্রিপার প্রদর্শনীতে শিমের সাথে তারা বরবটি ও চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। গাছ থেকে শিম সংগ্রহ করে পাইকারের কাছে প্রতিকেজি শিম ১৮০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। 

তারা জানান, গত মার্চ মাসে গ্রীষ্মকালীন সিকৃবি-১ জাতের শিম বীজ রোপণ করেন। এই মৌসুমে শিম চাষে তাদের প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছে গাছে শিম দেখা যায়। এরই মধ্যে শিম বরবটি ও চিচিঙ্গা বিক্রি করে প্রায় ৪০ হাজার টাকা এসেছে। অক্টোবর পর্যন্ত শিম উৎপাদন অব্যাহত থাকার কথা। ওই সময় পর্যন্ত শিম বিক্রি থেকে আরও দেড় থেকে ২ লাখ টাকা আসবে বলে তারা আশা করছেন। এছাড়া বরবটি ও চিচিঙ্গা থেকেও অর্থ আসবে।

ক্ষেতে সমুজ আলী ও সনজব আলীর সাথে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম

দুই ভাই জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের সার্বিক পরামর্শে শিম চাষ করে তারা সফল হয়েছেন। তাদের শিম চাষ দেখে এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝেও আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তারাও গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ শুরু করছেন।

স্থানীয় কৃষক মো. সাদেক মিয়া বলেন, গ্রীষ্মকালীন সিকৃবি-১ জাতের শিম চাষ করে সফল হয়েছেন সমুজ ও সনজব আলী। পাইকাররা এ শিম প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ১৫০ টাকা দরে কিনে নিয়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি করছেন। তাই এ মৌসুমে জমি আবাদ করে এ জাতের শিম চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। আমি শিম বিক্রি করতে পারছি। অক্টোবর মাস পর্যন্ত শিম বিক্রি চলবে।

উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম বলেন, শীতকালে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ হলেও গ্রীষ্মকালের জন্য উপযুক্ত হচ্ছে সিকৃবি-১ জাতের শিম। এই শিম গ্রীষ্ম ও বর্ষার আবহাওয়া সহিষ্ণু। মূলত এই শিম চাষে উপজেলার ভুলকোট গ্রামে সফলতা পেয়েছেন দুই ভাই মো. সমুজ আলী ও মো. সনজব আলী। তাদের দেখাদেখি আরো অনেক কৃষক শিম চাষে সফল হচ্ছেন।

তিনি বলেন, এখানকার উঁচু জমিতে কৃষকরা ধানসহ নানারকম সবজির আবাদ করেন। বর্তমানে আমার পরামর্শে একাধিক কৃষক সিকৃবি-১ জাতের শিমের আবাদ করেছেন। ভালো চাষের জন্য সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকি। ক্ষেতে ভালো ফলন হয়েছে। তারা দামও পাচ্ছেন ভালো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, বাহুবলে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ হতো না। বর্তমানে সেখানে শিম চাষ করছেন কিছু কৃষক। ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। ভবিষ্যতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।

/টিপু/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়