পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ১৭ কারখানা বন্ধ ঘোষণা

ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বেশিরভাগ তৈরি পোশাক কারখানা চালু থাকলেও অন্তত ১৭টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বেলা ৩টা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে যথাসময়ে কারখানায় কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। বেলা বাড়তেই কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা কাজ না করে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, টিফিন বিল বৃদ্ধিসহ নানা দাবি জানান।

এর জেরে শ্রমিকরা কাজ না করায় এবং বিষয়টি অন্যান্য কারখানায় জানাজানির পর ইতোমধ্যে ১৭টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছেন সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে গত কয়েকদিনে যেসব এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে সেসব এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কারখানা সংলগ্ন কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। 

আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়কে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। বিভিন্ন কারখানার সামনে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকার পার্ল গার্মেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের সামনের মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা। এছাড়া আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা। 

আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ জানায়, আজ সকালে নির্ধারিত সময়ে কাজে যোগ দেন বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না বলে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে ওই কারখানাগুলো ছুটি দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরে কারখানা ছুটির বিষয়টি জানাজানি হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কায় আশপাশের কারখানাগুলো ছুটি দেওয়া হয়।

শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, সকালে কারখানাগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিলো। তবে পরে কিছু কিছু কারখানায় মালিকদের সঙ্গে শ্রমিকদের যে অভ্যন্তরীণ বনিবনা  ও দাবি পূরণ না হওয়ায় সেগুলোতে শ্রমিকরা কাজ করেননি। পরে সেগুলো ছুটি দেওয়া হয়। কয়েকটি কারখানায় কর্মকর্তারা অনুপস্থিত থাকায় শ্রমিকরা কাজ না করে বের হয়ে যান। আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা শ্রমিক ছুটির বিষয়টি জানার পর তারাও কারখানা ছুটি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া আজ কারখানার সামনে অবস্থানরত সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। কোথায় কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।