ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

যশোরে ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসনে স্মারকলিপি প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
যশোরে ভবদহ জলাবদ্ধতা নিরসনে স্মারকলিপি প্রদান

যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে আজ স্মারকলিপি দিয়েছেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতারা

যশোরের ভবদহ এলাকার জলবদ্ধতা নিরসনে পাঁচ দফা দাবিতে পানি সম্পাদ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতারা। স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন যশোরের জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার। 

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিতি ছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালি, উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, বাম নেতা তসলিম উর রহমান, জিল্লুর রহমান ভিটু, গাজী আবদুল হামিদ প্রমুখ।

৫ দফা দাবি হলো- ভবদহ অঞ্চলকে মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে নদী, পানি ব্যবস্থাপনা, প্রাণ-প্রকৃতি, জীববৈচিত্র ও জনপদকে রক্ষার জন্য দ্রুত বিল কপালিয়ায় টাইডাল রিভার ম্যানজেমেন্ট (টিআরএম) ও পর্যায়ক্রমে বিলগুলিতে টিআরএম চালু এবং উজানে মাথাভাঙ্গা-ভৈরব নদী সংযোগের প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রাণালয়ের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা ও সাবেক স্থানীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী সহযোগে সিন্ডিকেটের বিচার, সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান, জনপদের দুঃখ-দুর্দশা, নদী হত্যা ও সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘনের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমডাঙ্গা খাল দ্রুত সংস্কার করতে হবে। নদী সীমানা নির্ধারণ, নদী তট আইন বাস্তবায়ন, অবৈধভাবে নদী গর্ভে নির্মিত ইটভাটা, আবাসন প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচার ও সব অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে সব খাল উন্মুক্ত করতে হবে। ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও দেশের অভ্যন্তরে সব নদী-খাল সংষ্কার, নদী সম্পদ উদ্ধার, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও নদী তট আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরো পড়ুন:

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ঠিকাদার ও ঘের মালিক সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রে ভবদহ স্লুইচ গেট থেকে ৬০ কিলোমিটার নদী হত্যা করা হয়েছে। ফলে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বারোয়াড়িয়া মোহনা পর্যন্ত যশোর-খুলনা-সাতক্ষীরা জেলাধীন নদী অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার জনপদের চার শতাধিক গ্রাম, হাট বাজার, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, বাড়িঘর, আবাদ ফসল স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হতে চলেছে। পরিতাপের বিষয় হলো- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিছিল ও স্মারকলিপির মাধ্যমে অনুরোধ-উপরোধ জানানো হলেও তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের পক্ষ নিয়ে এই জনপদকে মহাবিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন।

রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়