ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২ ১৪৩১

শ্রমিক হত্যার অভিযোগে সাবেক এমপি একরামুলসহ ৫৩ জনের নামে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১০:০৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শ্রমিক হত্যার অভিযোগে সাবেক এমপি একরামুলসহ ৫৩ জনের নামে মামলা

২০১৩ সালে ট্রাক শ্রমিক মো. খোকন (১৭) হত্যার অভিযোগে নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৫৩ জন নেতাকর্মীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহত শ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত খোকন (১৭) পেশায় একজন ট্রাক শ্রমিক ছিলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার জন্য সদর উপজেলার দত্তেরহাট দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন। খোকন তখন নিজের বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। এমন সময় হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াতের বিশাল এক মিছিল চলছিলো। মিছিলের সময় খোকন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো। 

মিছিল চলাকালে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, আওয়ামী লীগ নেতা সিএনজি কামাল, পৌর কাউন্সিলর নাসিম উদ্দিন সুনাম, আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামিরা অতর্কিত হামলা করে।  তখন ১ থেকে ২০নং আসামিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছুঁড়তে থাকলে আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়।

মামলায় আরও বলা হয়েছে, খবর পেয়ে নিহত শ্রমিকের বাবা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাকে মারধর করে তার ছেলেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর তাকে মৃত ভেবে লাশ গুম করার জন্য ময়লাযুক্ত খালে লাশ ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

সুধারাম মডেল থানায় মামলা করতে গেলে আসামিদের রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ নিহতের বাবার মামলা না নিয়ে পুলিশ নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে। মামলার বাদী অভিযোগ করেন, যার কারণে তিনি তার ছেলে হত্যার সঠিক বিচার পাননি। 

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মামলার এজহার হাতে পেয়েছি। তবে বর্তমানে সার্ভার চালু নেই। সার্ভার চালু হলেই মামলা রেকর্ড করা হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সুজন/ইমন 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়