ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২ ১৪৩১

ফেনীতে জমা পড়েনি নিজাম হাজারী দম্পতি ও সাবেক পৌর মেয়রের অস্ত্র 

ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৬, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
ফেনীতে জমা পড়েনি নিজাম হাজারী দম্পতি ও সাবেক পৌর মেয়রের অস্ত্র 

নিজাম উদ্দিন হাজারী ও সোনাগাজী পৌরসভার সাবেক মেয়র খোকন

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, তার স্ত্রী ও সোনাগাজী পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। 

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৭৭টি আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তারমধ্যে রয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা (চলমান), সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তি। জেলায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যক্তিপর্যায়ে বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল ও রাইফেলসহ ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। এসব অস্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে ছিলো। তারা বিভিন্ন সময়ে এসব অস্ত্র আইনি ও বেআইনি দুইভাবেই ব্যবহার করেছেন। জেলায় এখন পর্যন্ত ৯৩টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। এখনও জমা পড়েনি লাইসেন্সকৃত সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। 

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, জমা না পড়া লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার স্ত্রীর নামে তিনটি এবং সোনাগাজী পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের দুটি অস্ত্র রয়েছে। 

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, জেলায় ব্যক্তিপর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ১০০টি ক্রয় করেছিলে্। তারমধ্যে ছয়টি থানায় ৬৬টি, জেলার বাইরে বিভিন্ন থানায় ২৫টি অস্ত্র জমা পড়েছে। এছাড়া দুটি অস্ত্র জেলা ট্রেজারিতে আগে থেকেই জমা দেওয়া ছিএা। গত কয়েকদিনে সবমিলিয়ে মোট ৯৩ অস্ত্র জমা দেওয়ার তথ্য মিলেছে। 

জানা গেছে, গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) শেষ হয় সব ধরনের অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা। ওইদিন রাত ১২টা থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধারে মাঠে নামে যৌথ বাহিনী। এ যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।  

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ব্যক্তিপর্যায়ে লাইসেন্স দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে সাতটি এখনও জমা পড়েনি। ফেনীর ছয়টি থানা ছাড়াও অনেকে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন থানায় জমা দেওয়া অস্ত্রের তথ্য এখনও আসছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৩ অস্ত্র জমা দেওয়ার তথ্য রয়েছে। বাকি সাতটির কোনো তথ্য মেলেনি। 

সাহাব/টিপু
 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়