ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৫ ১৪৩১

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্য ৪ দিনের রিমান্ডে

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩১, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্য ৪ দিনের রিমান্ডে

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত- ২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এরা হলেন- তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

এর আগে সকাল ৯টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে আনা হয় দুই আসামিকে। এ সময় মামলার বাদী আবু সাইদের বড় ভাই রমজান আলীর আইনজীবী আদালতে বলেন, আসামিরা নিরস্ত্র শিক্ষার্থী আবু সাইদকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারীসহ সকলের নাম ঠিকানা জানতে তাদের রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। সেখানে পিবিআই পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক আসাদুজ্জামান শুনানি শেষে চার দিন মঞ্জুর করেন। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। ওই দিনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আদালত দেখেছেন। আসামিদের আজ চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আমরা আশা করছি এর মধ্য দিয়ে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীসহ মূল হোতাদেরও চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। 

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

আমিরুল/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়