গত সরকার ছিলো নতজানু: উপদেষ্টা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘রাজনীতি করা না করা মানুষের ব্যক্তিগত বিষয়, কিন্তু সবার মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা থাকাটা জরুরি। গত সরকার ছিলো নতজানু। কারণ তারা জনগণের সরকার ছিলো না। এ দেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আমরা আর নতজানু হবো না।’

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা নগরীর টাউনহল মাঠে জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদদের স্পিরিটকে ধারণ করে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ চলে গেলেও তাদের মানসিকতার মানুষগুলো এখনো রয়ে গেছেন। অনেকে ১৬ বছর বললেও, আমি বলবো ৫৩ বছর ধরে এই দেশে জঞ্জাল জমা হয়েছিল। ৫৩ বছরের জঞ্জাল কীভাবে এক মাসে পরিবর্তন করবো তা আমাদের জানা নেই। তবে, কিছু জিনিসের পরিবর্তন হয়েছে, সেগুলো হলো- এমন বন্যা পরিস্থিতিতে কেউ ত্রাণের টাকা মেরে খায়নি। সরকারি অফিস আদালতগুলোতে ঘুষ আদানপ্রদান বন্ধ হয়েছে। আমরা এই ধরণের কাঠামোগত পরিবর্তন চেয়েছিলাম।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘এতদিন ভারত একটি দল বা সরকারের সঙ্গে কথা বলতো। এখন সেই সুযোগ নেই। এখন কথা বলতে হবে জনগণের সঙ্গে তাও চোখে চোখ রেখে। ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা শহিদ হয়েছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে।’ 

অন্তবর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকে ফ্যাসিবাদের সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজি করছে। তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনাদের পরিণতি ও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো হবে। বাংলাদেশের তরুণদের এই শক্তি সমুন্নত থাকবে। তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমুন্নত থাকলে কোনো স্বৈরাচারী সরকার ফিরে আসতে পারবে না।’ 

মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের, সুমাইয়া আক্তার, হামযা মাহবুব, জিয়া উদ্দিন আয়ান, আলী আহাম্মেদ আরাফ, আবু রায়হান, তাছনিয়া নাওরিন, মহিদুল ইসলাম রিন্তু, ফারিয়া রহমান, খালেদ হাসান, নাঈম আবেদীন প্রমুখ।