ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
রোহিঙ্গাদের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হয়েছে রোহিঙ্গাদের তৈরি বিভিন্ন ধরনের নান্দনিক পণ্যের প্রদর্শনী। উপজেলার বালুখালীর ১০ নম্বর শরণার্থী শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ অফিসের সামনে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ‘পণ্য প্রদর্শনী মেলা’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা)।

ব্যুরো অব পপুলেশান, রিফিউজিস এন্ড মাইগ্রেশান (বিপিআরএম) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত মেলায় সহযোগিতা করে সেইভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ।

মেলায় ছয়টি স্টলে ৯ ও ১০ নম্বর ক্যাম্পে বসবাসকারী ৩০০ রোহিঙ্গার তৈরি পণ্য দেখানো হয়। পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল- বাঁশের তৈরি লুই, ডুলা, টিস্যু বক্স, কলম দানি। এছাড়া ছিল কাপড়ের তৈরি হাতপাখা, কাথা, টেবিল ক্লথসহ আরও কিছু পণ্য। রোহিঙ্গাদের ঘরের উঠানে চাষ হওয়া সবজিও প্রদর্শিত হয়েছে এ মেলায়।

আরো পড়ুন:

মেলার শুরুর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৯ ও ১০ এর ক্যাম্প ইনচার্জ সরওয়ার কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসা রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রোগ্রামের সহকারী পরিচালক যীশু বড়ুয়া। ইপসা রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রোগ্রামের প্রধান মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম পুরো প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। সেইভ দ্য চিলড্রেনের বিপিআরএম প্রকল্পের প্রকল্প প্রধান মাহবুব হাসান বক্তব্য রাখেন।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘রোহিঙ্গারা বিপদে পড়ে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশের সরকার ও বাংলাদেশের মানুষ তাদের বুকে নিয়েছে। রোহিঙ্গারা যেখানে থাকে সেটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল ছিল। আমরা আশা করি, রোহিঙ্গারা নিজেদের অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন। তারা ফিরে গেলে এই বনাঞ্চল আবারও তার পুরাতন রূপ ফিরে পাবে।’

ইপসা রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রোগ্রামের সহকারী পরিচালক যীশু বড়ুয়া বলেন, ‘পণ্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা রোহিঙ্গাদের দক্ষতা সবার কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’ 

সেইভ দ্য চিলড্রেনের বিপিআরএম প্রকল্পের প্রকল্প প্রধান মাহবুব হাসান বলেন, ‘রোহিঙ্গা তরুণরা যাতে বিপথে না যায়, সেজন্য বিপিআরএম প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বিপণনের উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৯ ও ১০ এর ইনচার্জ সরওয়ার কামাল বলেন, ‘এ ধরণের উদ্যোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মধ্যে হানাহানি কমে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।' 

পুরো প্রকল্প কার্যক্রম তুলে ধরে ইপসা রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রোগ্রামের প্রধান মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৭৭০ জনকে ১২০ দিন ধরে হাতে কলমে শেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে ৭১০ জন পেয়েছেন দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং ৬০ জন পেয়েছেন কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ।’

তারেকুর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়