ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

‌‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ অচল নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
‌‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ অচল নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ

অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। এ কারণে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মেডিক্যাল কলেজটির ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ ও বের হতে পারছেন না কেউ। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমসহ কলেজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, আন্দোলনের কারণে মেডিক্যাল কলেজে ডোপ টেষ্ট দিতে আসা বিদেশগামীরা পড়েছেন বিপাকে। প্রধান ফটকে তালার কারণে তারা ভেতরে ঢুকতে পারেননি। একাডেমিক ভবনসহ ক্লাস রুমে ঝুলছে তালা। বিভিন্ন বিভাগের অফিস রুমও ছিল বন্ধ।

জানা গেছে, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তারা। শিক্ষকের পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এরপরও চার শিক্ষক পদত্যাগ না করায় আজ থেকে মেডিক্যাল কলেজে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে শিক্ষকদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কেফায়েত উল্লাহ জানান, অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, শিক্ষক সৈয়দ ডা. কামরুল ইসলাম ও ডা. রিয়াজকে অপসারণ করতে হবে। তারা আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছেন না। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। দাবি মেনে নিয়ে তারা পদত্যাগ করুক, তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তারা যত বিলম্ব করবেন সমস্যা আরো ঘণীভূত হবে। তারা পদত্যাগ করুক, না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান জানান, চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছি। তারা কালক্ষেপণ করছেন, কিন্তু পদত্যাগ করছেন না। তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অন্দোলন চলবে। তাদের পদত্যাগ ছাড়া আমরা ক্লাসে ফিরবো না। পদত্যাগ ছাড়া তাদের কোনো পথ নেই। কারণ তারা বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে তাবেদারী করে চলেছেন। আমাদের শাটডাউন কর্মসূচি চলছে এবং তারা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। 

নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার সৈয়দ কামরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। তারা শিক্ষকদেরকে যে ভাষা আক্রমণ করছেন তা অশালীন। 

এই বিষয়ে কথা বলার জন্য নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি। যে কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়