ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

অস্ত্র জমা দেননি ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো টিপু

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
অস্ত্র জমা দেননি ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো টিপু

এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ব্যক্তিমালিকানায় ৩৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ইস্যু করে জেলা প্রশাসন। এসব অস্ত্র জমা দিতে নির্দেশনা জারি করার পর এ পর্যন্ত ৩৩টি অস্ত্র জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে অস্ত্র জমা দেননি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু। 

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্র–জনতার গণ–আন্দোলনকে ঘিরে গত ৪ আগস্ট সংঘর্ষে লক্ষ্মীপুর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টানা ৪ ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থী–জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান টিপুসহ তার লোকজন। অভিযোগ রয়েছে, টিপুর অস্ত্র থেকেও সেদিন গুলি ছোড়া হয়। এতে ৪ শিক্ষার্থীসহ ১২ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত শতাধিক। এর মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন গুলিবিদ্ধ।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ওই দিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বাসভবনের ছাদের ওপর থেকে টিপু ও তাঁর লোকজন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেন। এতে ৪ জন শিক্ষার্থীসহ ১২ জন নিহত হন। শতাধিক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দিনসহ অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপন করেন।

জেলা প্রশাসনের জে এম শাখার তথ্যমতে, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরে জেলা প্রশাসন ব্যক্তিমালিকানা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করে ৩৪টি। এ সব লাইসেন্সের বিপরীতে ৩৪টি আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়। কিন্তু গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় জমা পড়েছে ৩৩টি আগ্নেয়াস্ত্র। জমা পড়া অস্ত্রের মধ্যে পিস্তল ১৫টি, শটগান ১৬টি, বন্দুক ১টি ও রাইফেল ১টি। অবশিষ্ট ১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। সেটি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিনের অস্ত্র। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইসেন্সের বিপরীতে কেনা একটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। এখন সেটি অবৈধ হয়ে গেছে। এ কারণে অস্ত্রের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী মাঠে নেমেছে।

লিটন/বকুল 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়