ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

৯ দফা দাবিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ-মৌলভীবাজারের মানববন্ধন

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১১, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
৯ দফা দাবিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ-মৌলভীবাজারের মানববন্ধন

পিলখানায় হত্যাযজ্ঞের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন করেছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ-মৌলভীবাজার। এসময় মৃত ও জীবিত অনেক বিডিআর সদস্যের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। 

পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের দাবী মানা না হলে কেন্দ্রীয়ভাবে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। 

বক্তারা বলেন, এটা বিডিআর বিদ্রোহ ছিলো না, পরিকল্পিতভাবে সেনা সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে এবং বিডিআর সদস্যদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। 

তারা বলেন, এখনো অনেক বিডিআর সদস্য জেলখানায় আছেন, তাদের অনেকের সাজা শেষ হলেও এখনো জেল খাটছেন। সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহালেরও দাবি জানান। 

অনেক বিডিআর সদস্য মানবেতর দিনযাপন করছেন, অনেকের বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে, টাকার জন্য কাজ করাতে পারছেন না বলেও জানান তারা। 

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন নায়েব সুবেদার মো. মোতালেব মিয়া।

মরহুম আইটি মুহিবুর রহমান খান-এর মেয়ে সাহারা তাবাসসুম জানান, জেল খানায় ৫ বছর থেকে বিনা চিকিৎসায় তার বাবা অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড একটি সাজানো হত্যাকাণ্ড ছিলো। যাদের চাকরি গিয়েছে ও যারা ভুক্তভোগী হয়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের দাবিও জানান তিনি।

তাদের ৯ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিদ্রোহ সঙ্গায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আখ্যায়িত করতে হবে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকরিচ্যুত সকল পদ-পদবীর বিডিআর সদস্যদের সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। হত্যাকাণ্ড মামলার হাইকোর্টের বিচারকগণের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদ্ধার ও কুশিলবদের শনাক্ত করে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদৎ বরণকারী ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যে সকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ ও মৃত সকল পদবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন করতে হবে। তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্তপূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ ও সাজা শেষকারী বিডিআর সদস্য যারা প্রহসনের বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ কারা অন্তরীন আছেন, তাদেরকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জামিন অথবা মামলা হতে অব্যাহতি দিয়ে মুক্ত করতে হবে।

 হামিদ/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়