ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

 গাইবান্ধায় বিচারবহির্ভূত ‘হত্যার’ প্রতিবাদে মানববন্ধন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
 গাইবান্ধায় বিচারবহির্ভূত ‘হত্যার’ প্রতিবাদে মানববন্ধন

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলামের মৃত্যুর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সাঘাটা ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে গাইবান্ধা-ভরতখালী সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়। মানববন্ধনে এলাকার শত শত মানুষ অংশ নেয়। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান ও সাঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন সুইটের ভাই সুজাউদ্দৌলা সুজা, মঞ্জুরুল আলম মিঠু, শামছুল হক, মাসুদুর রহমান মাসুদ, আমিনুল ইসলাম, তহমিনা এ্যানি, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘যৌথবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে সোহরাব হোসেন আপেল ও শফিকুল ইসলাম মারা গেছেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগে এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যার কথা শুনেছি। এখন সরকার বদল হয়েছে। কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেমে যায়নি।’  

তারা আরও বলেন, গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে যৌথবাহিনী সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইটের বাড়িতে অভিযান চালায়। রাতভর অভিযান শেষে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট, সোহরাব হোসেন আপেল, বাসার কাজের লোক শফিকুল ইসলাম, বাশঁহাটা গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম রকি ও শাহাদত হোসেন পলাশকে আটক করে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহরাব হোসেন আপেল গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ও শফিকুল ইসলাম বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। আহত বাকি তিনজন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। 

আরও পড়ুন: মারা যাওয়া দুইজনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা 

সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এ বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার দাবি করা হয়। তা না করা হলে গাইবান্ধার ডিসি অফিস ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এদিকে, গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সোমবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইটের বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী। অভিযানে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য স্থানীয় সাঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুইজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের একজনকে বগুড়া এবং অন্যজনকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অসুস্থতার কারণে পরবর্তীতে তাদের মৃত্যু হয়েছে। 

নির্যাতনে মৃত্যুর বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। 

মাসুম/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়