বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের এক পক্ষের বাধায় সমন্বয়কদের মতবিনিময় পণ্ড
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়
শিক্ষার্থীদের এক পক্ষের বাধার মুখে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ‘ছাত্র-নাগরিকের মতবিনিময় সভা’ করতে পারেননি কেন্দ্রের সমন্বয়ক মাহিন সরকারসহ তার দল।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে তারা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বগুড়া সরকারি আজিজুল কলেজে গেলে শিক্ষার্থীদের এক পক্ষের তোপের মুখে পড়েন। পরে ধাওয়া দিলে তারা কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তারা অনুষ্ঠান না করে কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই অনুষ্ঠান ঘিরে আগে থেকে কলেজে অবস্থান নিয়েছিল শিক্ষার্থীদের এক পক্ষ। পরে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও তার দলসহ বগুড়ার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া সাধারণ ব্যানারে থাকা আরেক পক্ষ কলেজে প্রবেশ করলে সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এরপর তারা কলেজ অধ্যক্ষের ভবনে আশ্রয় নেন। এ সময় অন্য পক্ষের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও তার দলকে নিয়ে এবং বগুড়ার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে থাকা আরেক পক্ষকে নিয়ে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিকাল পৌনে ৬টার দিকে তারা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে চলে যায়। এ সময় সেনাবাহিনী এবং পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল।
মাহিন সরকার ও তার দলের বিরোধিতা করা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ছিলেন সাকলাইন সাদিক। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা আসছেন এবং কলেজে তাদের অনুষ্ঠান রয়েছে, সেটা আমরা শিক্ষার্থীরা কেউ জানতাম না। তারা এখানে তাদের মতো করে পকেট কমিটি দিয়ে যাবে, এটা আমরা মানব না। তাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না। অনুষ্ঠান করতে হলে এখানে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আসতে হবে।’
মাহিন সরকারদের সঙ্গে সমন্বয়কারীদের একজন নিয়তি সরকার নিতু বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের কথা এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা আসছেন এটা সবাইকে জানানো হয়েছে।
সকাল ৯টায় বগুড়া নামাজগড় আঞ্জুমান ই গোরস্থানে মাহিন সরকার ও তার দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের কবর জিয়ারত করেন। পরে বেলা ১১টায় শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এনাম/বকুল