ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

উখিয়ায় বনবিভাগের জমি উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
উখিয়ায় বনবিভাগের জমি উদ্ধার

কক্সবাজারের উখিয়ায় অবৈধভাবে গরুর খামার, সুপারি বাগান ও ফলজ বাগানের নামে দখল করে রাখা বিপুল পরিমাণ বনের জমি উদ্ধার করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানীতে রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আল আমিনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।

মো. ফিরোজ আল আমিন বলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার নির্দেশে উখিয়া উপজেলায় এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।এতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখলে রাখা ৫ একর বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সময় গত ১৫ বছর ধরে উপকূলীয় জালিয়াপালং এলাকায় বিস্তৃত বনভূমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে বাণিজ্যিক আকারে নানান কিছু গড়ে তুলেছেন ইনানীর নুরুল হক আনসারী নামের এক ব্যক্তি।ওই জমি বনবিভাগের হলেও জমিদারিত্ব ছিল তার।তিনি সরকারি জমি দখলে নিয়ে পাহাড় কেটে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার, সুপারি বাগানসহ নানান ধরনের গাছের বাগান। তার দখলে থাকা সরকারের বিশাল এই জমি দখল উচ্ছেদ করে বনায়ন করার দাবি তুলেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।অবশেষে বৃহস্পতিবার বনবিভাগের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই জমি দখলমুক্ত করা হলো।

জানা গেছে, নুরুল হক আনসারী ওরফে ককটেল মৌলভী এলাকা সরকারি জমি জবর দখলের পাশাপাশি নানা অপকর্মের সাথে জড়িত।তার বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা রয়েছে। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল হক আনসারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অবৈধভাবে দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি রেজিস্ট্রার্ড ভিলিজার।সরকারের অনুমতি নিয়ে বনভূমির জায়গায় ভোগ দখলে আছি।১৯৭৭ সালে ভিলিজারি হিসেবে বিনা বেতনে সরকার জায়গাটিতে থাকার জন্য আমাকে দিয়েছে।আমার ব্যাপারে তোলা অভিযোগ মিথ্যা।

ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ফিরোজ আল আমিন বলেন, তার বিরুদ্ধে পূর্বেও মামলা করা হয়েছিল।নতুন করে আবারো মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে ইনানী বিট কর্মকর্তা মো. তোসাদ্দেক হোসেন, জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা মো. সোহেল হোসেন, ছোয়ানখালী বিট কর্মকর্তা মো. আল আমিন, ফরেস্টার মো. রোকনুজ্জামানসহ, স্টাফ ও সিপিজি সদস্যরা।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সারওয়ার আলম বলেন, ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে দখলবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।সব দখলবাজের বিরুদ্ধে অভিযান ও উচ্ছেদ চালিয়ে মামলা করা হবে।

তিনি বলেন, শুধু ইনানী এলাকায় নয়, গত ১৫ বছর অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যেসব এলাকায় বনভূমি দখল করে ঘরবাড়ি ও বাণিজ্যিক আকারে স্থাপনা গড়ে তুলা হয়েছে, তা পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হবে।

/তারেকুর/সাইফ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়