বরগুনায় সেতুর সংযোগ সড়কে ধস, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী সেতুর সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়কের একাংশ দেবে ধসে পড়েছে। প্রায় দুই মাস আগে বরগুনা-বেতাগী-বাকেরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে সেতুটির একাংশের মাটি নিচের দিকে ধসে পড়ে। এখন পর্যন্ত সংযোগ সড়কটি সংস্কার না করায় এ রুটে যাতায়াতকারী পরিবহন চালক ও যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী এলাকায় বেড়েরধন খালের ওপর পুরাতন লোহার ব্রিজ ভেঙে গার্ডার সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণের দুই বছর পর এর দুই পাশের সংযোগ (অ্যাপ্রোচ) সড়ক নির্মাণ করা হয়। এর মাধ্যমে বরিশালের বাকেরগঞ্জের সঙ্গে বরগুনার সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুর দক্ষিণ পাশের সংযোগ সড়ক দেবে ধসে পড়েছে। এছাড়া সেতুর গোড়ায় সংযোগ সড়ক বাঁধাই করা ব্লক সরে গেছে। গোল পোস্টগুলোও ভেঙ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা ঝুঁকি নিয়ে ধসে পড়া এই অংশটুকু সাবধানে পার হচ্ছেন। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে ধসে পড়ায় সেতুটি এখন হুমকির মুখে। ভেঙে যাওয়া অ্যাপ্রোচের অবশিষ্ট অংশ ভেঙে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে সারা দেশের সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
এ রুটের নিয়মিত যাত্রী বিবিচিনি স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আবুল বাসার বলেন, বরগুনা-বেতাগী-বাকেরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের এ রুটে বর্তমানে লোকাল ও দুরপাল্লার বাস, ট্র্যাক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোনো সময় সেতুর ঢাল ভেঙে যাত্রীসহ খালে পরে বড় ধরণের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। তাই বড় ধরনের বিপদ এড়ানোর জন্য আগে-ভাগে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরি।
বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খ. ম ফাহরিয়া সংগ্রাম আমিনুল বলেন, বর্তমানে ঝোপখালী সেতুর উভয় পাশের অ্যাপ্রোচই ঝুঁকিপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার গাড়ি চলাচল করে।
বেতাগী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, ‘আমি সেতুর দেবে ও ভেঙে যাওয়া অ্যাপ্রোচের অংশ সরেজমিন পরিদর্শন করে এসেছি। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।’
এ বিষয় বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি আরও আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অ্যাপ্রোচে ধসের কারণে এ রুটের মানুষের যাতায়াত যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সে জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
ইমরান/বকুল