বগুড়ায় বাস ও ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় লিয়াকত আলী (৬০) নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার গাড়িদহ ওভার ব্রিজের নিচে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত লিয়াকত আলী শাজাহানপুর উপজেলার চেতুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লিয়াকত আলী শেরপুরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে শেরপুর থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে শাহজাহানপুরে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় গাড়িদহ এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে অজ্ঞাত একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা শেরপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসে দায়িত্বরত বখতিয়ার উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের পুরান বগুড়া ওয়াপদা গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আশরাফুল ইসলাম (৩৫) নামে আরেকজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। পদ্মরাগ ট্রেনের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিহত আশরাফুল ইসলাম রাজশাহীর পবা উপজেলার আজিমউদ্দিনের ছেলে। তিনি বগুড়ায় একটি সিগারেট কোম্পানির সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পুরান বগুড়ার বটতলা এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
বগুড়া রেলস্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে পদ্মরাগ ট্রেন বগুড়া থেকে সান্তাহার অভিমুখে রওয়ানা দেয়। ট্রেন যখন আজিজুল হক কলেজ সংলগ্ন ওয়াপদা গেটের কাছাকাছি আসে, তখন আশরাফুলসহ দুজন মোটরসাইকেল করে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। এ সময় কিছু বোঝার আগেই মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে ট্রেনের। ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই আশরাফুল মারা যান। তবে তার সঙ্গীর কিছু হয়নি বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আশরাফুল নিজে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। তিনি স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। মৃত্যুর পরপরই তার লাশ নিয়ে যায় স্বজনেরা।
এনাম/টিপু