ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

শিশু চোর সন্দেহে হাসপাতালে মানসিক রোগীকে গণপিটুনি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৮, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:১৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিশু চোর সন্দেহে হাসপাতালে মানসিক রোগীকে গণপিটুনি

শিশু চোর সন্দেহে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রহিমা আক্তার মুক্তা (৩৫) নামে এক নারীকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের স্বজন ও বহিরাগতরা তাকে পেটান। গণপিটুনিতে আহত ওই নারী বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহত রহিমা আক্তার মুক্তা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর ইসলামের স্ত্রী।

মুক্তার স্বামী জাহাঙ্গীর বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আমার স্ত্রীর মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। আমার স্ত্রী শিশু চুরি করেনি। কিন্তু শিশু চোর সন্দেহে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। 

গত ৫ দিন ধরে হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৫ বছর বয়সী অনিক। শিশুর বাবা অনিক ও তার মা জেমি খাতুন বলেন, আমাদের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার আলমাতলায়। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ওই নারী আমাদের ওয়ার্ডে এসে ঘোরাঘুরি করছিল। দুই বা আড়াই ঘণ্টা ধরে সে ঘোরাঘুরি করছিল। আমরা ধারণা করছিলাম তিনি শিশু চোর। চোর সন্দেহে রোগীর স্বজন ও বহিরাগতরা তাকে মারপিট করে। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মিঠুন কুমার চক্রবর্তী বলেন, শিশু চোর সন্দেহে মুক্তা নামের এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, শিশু চোর সন্দেহে এক নারীকে গণধোলাই দিয়ে আহত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক না। তার মানসিক সমস্যা আছে।

কাঞ্চন/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়