ঢাকা     বুধবার   ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৩ ১৪৩১

ডিজির পদত্যাগের দাবিতে তাজউদ্দীন হাসপাতালে নার্সদের বিক্ষোভ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
ডিজির পদত্যাগের দাবিতে তাজউদ্দীন হাসপাতালে নার্সদের বিক্ষোভ 

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মাকসুরা নূরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নার্সরা। এ কর্মসূচিতে চার শতাধিক নার্স যুক্ত হয়েছেন বলে জানান গাজীপুর নার্সিং সংস্কার পরিষদ।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে তারা এ বিক্ষোভ মিছিল করেন।

আন্দোলনরত নার্স ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা জানান, নার্সিং অধিদপ্তরের প্রশাসনিক পদগুলোতে উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগ দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে নার্সরা প্রশাসনিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন, যার বিরুদ্ধে এবার তারা কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রশাসনিক পদে তাদের নিজস্ব পেশাজীবীদের নিয়োগের মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান সম্ভব, যা তাদের পেশাগত ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে।

শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ নার্সিং কলেজের নার্সিং ইনসট্রাক্টর জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, অনতিবিলম্বে ডিজিকে পদত্যাগ করতে হবে। এটি আমাদের এক দফা এক দাবি। না হলে সামনে কঠোর আন্দোলন করা হবে। 

রেজিস্ট্রার্ড নার্স মেহেদী হাসান বলেন, আমরা কেনো রোগী ছেড়ে আন্দোলনে। একজনের ভুল, অসত্য ও অবমাননাকর বক্তব্যের কারণে দেশজুড়ে আন্দোলন হচ্ছে। অতিদ্রুত তার পদত্যাগ করতে হবে এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নার্স কর্মকর্তাগণকে পদায়ন করতে হবে।

নার্সিং শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার বলেন, ডিজি পদত্যাগের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান হবে। আমরা আন্দোলন করতে চাই না, আমরা সেবা করতে চাই। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নার্স কর্মকর্তাগণকে পদায়ন করতে হবে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের নার্সিং ইনসট্রাক্টর শামিমা নাসরিন শেলী বলেন, ডিজি আসলে নার্সদের কেউ না। উনি আমাদের বুঝবে না, তার অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। আজ কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হবে, এরপর কঠোর আন্দোলন হবে। প্রশাসনিক দায়িত্বে অবশ্যই নার্সদের মধ্যে থেকে যোগ্যতা অনুয়ায়ী বসাতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যেখানে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার ভিত্তিতে নার্সদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে আখ্যা দেন। তার এ মন্তব্য নার্সদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

/রেজাউল/মেহেদী/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়