সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি ভোটকেন্দ্রে গুলিতে এক ব্যক্তির নিহতের ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বিজিবির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ৯ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যার এজাহার দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ এজাহার মামলা হিসেবে নথিভুক্তের জন্য আখাউড়ার থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

পৌরসভার কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাহার মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ গুলিতে আবদুল হাদিস (৪২) নিহত হন। হাদিস বাহারের আপন ছোট ভাই। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা (৫২), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাশেম ভূইয়া (৬৮), তাকজিল খলিফার আপন ভাই ফুরকান খলিফা (৪৫), আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া (৬০), জুয়েল খান (৮৫), নাহিদ খান (৩০), উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা নাছির মিয়া (৫৫) প্রমুখ। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় আবুল কাশেম আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। নিহত হাদিস মিয়া ভোটকেন্দ্রের প্রায় ৩০০ গজ দূরে অবস্থান করছিলেন। ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের অবস্থানের বিষয়টি মামলার আসামিরা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফাকে মুঠোফোনে জানান। আনিসুল ও তাকজিল সেসময় নিহত হাদিসসহ অন্যদের দেখামাত্রই গুলি করার জন্য নির্দেশ দেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে। বুকের ডান পাশে একটি গুলিবিদ্ধ হলে হাদিস ঘটনাস্থলে মারা যান। 

মামলার আইনজীবী নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, দ্রুত বিচার ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারাসহ হত্যার অভিযোগে এ এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আদালত এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য আখাউড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।