ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৪ ১৪৩১

পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১১:৩৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ

মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ-দুর্নীতির যেন শেষ নেই। দুর্নীতি রোধে মাঝে মাঝে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তার কিছুই হয় না। এ কারণে দুর্নীতিমুক্ত পাসপোর্ট অফিসের দাবিতে মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান এবং অফিস সহকারী কামরুল হাসানের বিচার ও পদত্যাগের দাবিতে পাসপোর্ট অফিসের দরজায় ব্যানার টানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গেলে টাকা ছাড়া মিলে না সেবা। সেবাগ্রহীতা ভুক্তভোগীদের দাবি, দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে পাসপোর্ট অফিস। বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ছাড়া কোনো পাসপোর্ট ফরম জমা নেয়া হয় না। কারো নামের বানান ভুল বা প্রবাসী হলে এক একটি পাসপোর্ট থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয় বলেও অভিযোগ। 

অনুসন্ধানে পাওয়া গেলো, নানা অনিয়মের মূলহোতা সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান এবং অফিস সহকারী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। 

সূত্র জানায়, পাসপোর্টের জন্য কেউ সরাসরি আবেদনপত্র জমা দিলে ওই আবেদনপত্রে যে কোনোভাবে ভুল ত্রুটি ধরে পুনরায় আবেদন করতে বলা হয়। তবে আবেদনকারী যদি নির্ধারিত কর্মচারীর কাছে ঘুষের টাকাসহ আবেদনপত্র জমা দেন তা হলে কোনো সমস্যা হয় না। এখানে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক আবেদনপত্র জমা ও পাসপোর্ট সরবরাহ হয়ে থাকে। প্রতি পাসপোর্টে একহাজার টাকা হিসাবে দৈনিক আদায় হয় মোটা অঙ্কের টাকা। পাসপোর্ট সংশোধনে নেয়া হয় ৫০ থেকে এক লাখ টাকা। ঘুষের টাকার সমন্বয় করেন অফিস সহকারী কামরুল হাসান। এ অর্থ শীর্ষ কর্মকর্তাসহ সবাই ভাগ পান বলে জানা গেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের নামের বানান একটি অক্ষর ভুল রয়েছে। এই কারণে আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছে। আমি দেশের বাইরে যাবো। সময় কম তাই দিতে বাধ্য হয়েছি। 

মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই এ পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি চলে আসছে। এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দেশ চলছে। এই সময়ও থেমে নেই দুর্নীতি। আমরা চাই দুর্নীতিমুক্ত দেশ। দুর্নীতিমুক্ত পাসপোর্ট অফিস। এই অনিয়মের যারা জড়িত তাদের বিচার চাই। 

এ ঘটনায় মাদারীপুর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসানের ব্যবহৃত সরকারী নম্বরে ফোন দিলেও সারা মেলেনি। এছাড়াও অভিযুক্ত কামরুল হাসানও কথা বলতে রাজি হননি। 

মাদারীপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিজভী/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়