ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

ফেনীতে ৪ আগস্ট পুলিশের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন: এসপি

ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৬:৩৩, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফেনীতে ৪ আগস্ট পুলিশের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন: এসপি

সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ পুলিশ লাইনশেডে মতবিনিময় করেন ফেনীর নবাগত এসপি মো. হাবিবুর রহমান

ফেনীর নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘ফেনীতে গত ৪ আগস্টের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও যদি কোনো অভিযোগ থাকে, আমাকে অবহিত করলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিতর্কিত পুলিশ সদস্যদের এক থানা থেকে অন্য থানায় রদবদল করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বিষয়েও কাজ চলছে।’ 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন ড্রিলশেডে ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এসপি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছর পুলিশকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কিছু ভুল-ত্রুটি ছিল। এজন্যই পুলিশ এতো বিতর্কিত। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা অনুযায়ী সবাইকে নিয়ে জনবান্ধব পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনায় কাজ করার চেষ্টা করব। ফেনীবাসীর মতো করে জেলা পুলিশকে সাজানো হবে।’ 

আরো পড়ুন:

সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করা না গেলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আমার কাজে যদি  ভুল-ত্রুটি থাকে লেখনীর মাধ্যমে তার গঠনমূলক সমালোচনা করবেন।’ 

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের আটকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সেই অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা এখন আমাদের মূল কাজ হবে। ইতোমধ্যে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। 

কতিপয় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ প্রসঙ্গে হাবিবুর রহমান বলেন, বিদেশগামীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বা ভেরিফিকেশন নিয়ে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের কোনো সদস্য যদি স্পিড মানি দাবি করে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘ফেনীতে সব পুলিশ কর্মস্থলে রয়েছে। নিয়মিত দায়িত্বপালন করছেন। গত ৫ আগস্ট পুলিশের আটটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ৮০ শতাংশ কাজ শুরু করেছি। আশাকরি, অন্যান্য কাজও শিগগিরই শুরু করতে পারব।’

কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হবে উল্লেখ করে এই পুলিশ সুপার বলেন, ‘কিশোর গ্যাং সমস্যা সব জায়গায় বিরাজমান। এদের কোন দলীয় পরিচয় নেই। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা বিভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে। জেলায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে যত প্রকারের ভূমিকা নেওয়া সম্ভব তা আমি নেব।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) দীন মোহাম্মদ (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), মো. শাহাদাৎ হোসেন (ক্রাইম এন্ড অবস), পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ফেনীতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়