ঢাকা     শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৫ ১৪৩১

ফেনীতে আন্দোলনে গুলিতে আহত শিক্ষার্থীর মামলা, আসামি ৭১

ফেনী প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪   আপডেট: ১৭:১১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ফেনীতে আন্দোলনে গুলিতে আহত শিক্ষার্থীর মামলা, আসামি ৭১

ফাইল ফটো

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মো. তাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় এ মামলা করেন। তাজিম দাগনভূঞা উপজেলা পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, আহত শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। এতে তাজিম তার আরও কয়েকজন বন্ধুসহ অংশ নেন। ওইদিন দুপুরের দিকে আওয়ামী লীগের একদল সশস্ত্র নেতাকর্মী ছাত্র-জনতার সমাবেশে হামলা করে। এতে নয়জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়। তাজিম নিজেও গুলিতে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারা গেছে মনে করে ফেলে চলে যায়। বিকেলে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখনও তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ মামলার উল্লিখিত ৯ নম্বর আসামি জিয়া উদ্দিন ওরফে ডালিমকে (৩০) বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। ডালিম ফেনী সদর উপজেলার দক্ষিণ কাজিরবাগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকায় একজন বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া তিনি বিএনপির দলীয় সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানুর ছোট ভাই। তবে তিনি ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে নির্বিচারে গুলি করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয় জন নিহত এবং দেড় শতাধিক আহত হয়েছে।

ফেনী মডেল থানায় সেদিনের হত্যাকাণ্ডে মোট নয়টি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
 

সাহাব/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়