ঢাকা     শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৫ ১৪৩১

একসঙ্গে দু’টি সরকারি চাকরি করেছেন সোহাগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
একসঙ্গে দু’টি সরকারি চাকরি করেছেন সোহাগ

গোপালগঞ্জে সরকারি চাকরিতে বহাল থাকার পরও অপর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি কারার অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুমের অফিস সহায়ক সোহাগ হাওলাদারের বিরুদ্ধে।

তথ্য গোপন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক পদে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত সোহাগ হাওলাদার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামের আওলাদ হোসেন হাওলাদারের ছেলে। একটি সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় অপর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অন্যায় হয়েছে বলে সে স্বীকার করেছেন তিনি।

জানাগেছে, ২০২১ সালের ১ নভেম্বর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে যোগদান করেন সোহাগ হাওলাদার। কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী ভূমি অফিস কর্মস্থল হলেও সংযুক্তিতে বর্তমানে তিনি ডিসি অফিসের রেকর্ড রুমে কর্মরত রয়েছেন। 

গত ২০ জুন ছুটি নিয়ে ৪ জুলাই কাজে যোগদান করেন এবং নিয়মিত অফিস করছেন। তবে সরকারি চাকরিতে কর্মরত থাকলেও সিটি করপোরেশনে চাকরির আবেদনে তা গোপন করেছেন সোহাগ। জনবল নিয়োগ পরীক্ষার ফল এবং এ সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯-এর বিধি ৪ ও ৬ অনুযায়ী চলতি বছরের ১৩ মে পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক পদে নিয়োগ পান সোহাগ। 

২৭ জনের সঙ্গে পাওয়া নিয়োগ আদেশে তার ক্রমিক নম্বর ৯। ডিএসসিসির তৎকালীন সচিব আকরামুজ্জামান ওই নিয়োগ আদেশে স্বাক্ষর করেন।

২ জুন পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক পদে ডিএসসিসিতে যোগদান করে তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তবে ৭ জুলাই থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন সোহাগ। 

গত ২৪ জুলাই আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আবু তাহেরের কাছে পাঠানো এক পত্রে জানানো হয়, সোহাগ পারিবারিক কারণে তিন দিনের ছুটিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পরে কর্মস্থলে উপস্থিত না হলে জানান, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

অভিযুক্ত সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে থেকে অপর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অন্যায় হয়েছে। সবাই চায় উপরে উঠতে, আমিও সেটাই করেছিলাম। কিন্তু আমার পরিবার চায় না আমি ঢাকায় গিয়ে কাজ করি। তাই পারিবারিক কারণ দেখিয়ে গত ১৮ আগস্ট স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের আবেদন জমা দিয়েছি। দুই মাসের এ চাকরিতে আমি সেখান থেকে এক টাকাও বেতন নেইনি।’

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘একই সাথে দুটি সরকারি চাকরি করার সুযোগ নেই। বিষয়টি আমি জানতে পারলাম। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ডিএসসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম এ বিষয়ে অজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘একসঙ্গে দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ নেই। যদি এমনটি করে থাকেন, অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাদল সাহা/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়