অভয়নগরে দুর্বৃত্তদের হামালা, ঘাটশ্রমিক নিহত 

যশোরের অভয়নগরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তদের হামলায় এক ঘাটশ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই জন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মশরহাটী গ্রামে ভৈরব সেতু সংলগ্ন আব্দুল কুদ্দুসের চায়ের দোকানের সামনের রাস্তার হামলাটি হয়।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর)  অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

নিহত ব্যক্তির নাম মতিয়ার রহমান বিশ্বাস ওরফে মতি বিশ্বাস (৪৬)। তিনি উপজেলার মশরহাটী গ্রামের মৃত হাশেম আলী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি অভয়নগর নওয়াপাড়া পৌর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। 

আহত মো. হালিম (৩৫) উপজেলার বনগ্রামের মৃত মজিদ শেখের ছেলে। অপর আহত মনিরুল ইসলাম লিটন (৪০)। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

নিহত মতি বিশ্বাসের স্ত্রী মিম খাতুন বলেন, ‘রাতে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্র দিয়ে আমার স্বামীসহ তার দুই বন্ধুকে কুপিয়ে রেখে চলে যায়। এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগিতায় তিন জনকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে হালিমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং লিটনকে খুলনা সিটি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়।’ 

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে মশরহাটী গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলের সামনে ও পাশের একটি আম গাছের নিচে নিহত মতি বিশ্বাসের স্যান্ডেল পড়ে আছে। পাশের একটি টিনের ঘরের বারান্দা ও চালে রক্তের ছাপ রয়েছে। নিহত ও আহতদের পরিবারের চলছে শোকের মাতম। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।          

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। তারই জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কুদ্দুসের চায়ের দোকানের সামনে ১৫-২০ জনের একটি দল মতি ও তার দুই সহযোগির ওপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মতি ও সহযোগিদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে অভয়নগর থানা পুলিশ আহত তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

অভয়নগর থানার ওসি এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত তিন জনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত দুজন ঢাকা ও খুলনা সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।