পরিবহন ভাঙচুর
রাঙামাটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা
রাঙামাটি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ফাইল ফটো
রাঙামাটিতে সংঘর্ষ চলাকালে পরিবহন ভাঙচুর এবং চালকদের মারধরের প্রতিবাদে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাঙামাটি পরিবহন মালিক সমিতি এ ঘোষণা দেয়।
রাঙামাটি ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম আকাশ জানান, সংঘর্ষ চলাকালে তাদের অন্তত ১০টি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়েছে ।
রাঙামাটি বাস মালিক সমিতির নেতা মঈনুদ্দীন সেলিম বলেন, রাঙামাটি শহরের কোট বিল্ডিং এলাকায় তাদের তিনটি বাস ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শনিবার থেকে রাঙামাটিতে সব প্রকার যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রাঙামাটি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, আমাদের তিনটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। পাঁচজন চালককে মারধর করা হয়েছে। তারা এখন রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙামাটিতে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা বহাল রেখেছেন জেলা প্রশাসন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে পাহাড়ি ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাঙামাটি শহরের বনরূপায় অবস্থান নিয়ে কয়েকটি গাড়ি ও দোকানে হামলা চালায়। খবর পেয়ে বাঙালীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হন উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান গণবিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘যেহেতু রাঙামাটি পার্বত্য জেলার পৌরসভা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে এবং জনগণের জান ও মাল ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে, সেহেতু রাঙামাটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা অদ্য ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার পৌরসভা এলাকায় ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ মোতাবেক ১৪৪ ধারা জারি করা করলাম। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর খাঁন বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৫৩ জন হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে। ৩৪ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন। এছাড়া এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
বিজয়/মাসুদ