ঢাকা     রোববার   ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৭ ১৪৩১

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ৬ দাবিতে ১১ গ্রামবাসীর বিক্ষোভ

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ৬ দাবিতে ১১ গ্রামবাসীর বিক্ষোভ

ছয় দফা দাবিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকায় মানববন্ধন করেছেন ১১ গ্রামের বাসিন্দারা। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে খনি গেটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এর আগে, আজ সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খনি গেটে এসে অবস্থান নেন তারা। 

কর্মসূচিতে চক মহেশপুর, বৈগ্রাম, কাশিয়াডাঙ্গা, মোবারকপুর, জব্বরপাড়া দক্ষিণ রসুলপুর (বড়), দক্ষিণ রসুলপুর (ছোট), পূর্ব জব্বরপাড়া, সাহাগ্রাম, দূর্গাপুর ও হামিদপুরসহ ১১টি গ্রামের বাসিন্দারা অংশ নেন। 

আরো পড়ুন:

বিক্ষোভকারীদের ছয় দাবি হলো- খনি কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবার থেকে স্থায়ী চাকরি দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ১১টি গ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িতে বসবাস করা পরিবারগুলোকে দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারকে মাইনিং সিটি অথবা উন্নতমানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের এককালীন ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও রাস্তা পুননির্মাণ করে দিতে হবে। যাদের জমি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে শতকরা ৫ শতাংশ হারে তাদের কয়লা উৎপাদন বোনাস দিতে হবে।

মানবন্ধনে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী হোসেন, সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আল বেরনী, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাতার ইকবাল নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন। 

বক্তারা বলেন, খনি এলাকা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা সবসময় অতঙ্কে থাকি। বর্তমানে বাড়ি-ঘরে ফাটল দেখা দিচ্ছে। কাঁপুনির কারণে রাতে শান্তিতে ঘুমানো যাচ্ছে না। ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। 

তারা আরও বলেন, কয়েক দফা বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লিখিতভাবে জানানো হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলো গুরুত্ব না দিয়ে টালবাহানা করছেন। যে কারণে আমরা বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে ক্ষতিপূরণের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আগামী ৭ দিনের মধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, খনি ঘেরাওসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বিষয়টি জানার জন্য বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। যে কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

মোসলেম/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়