ফরিদপুরে প্রথম স্বামীর হাতে দ্বিতীয় স্বামী খুন

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আসমা বেগম নামের এক নারীর দ্বিতীয় স্বামী আকবর আলীকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাড়াকান্দা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আকবর আলী খয়রাতি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কলম খয়রাতির ছেলে। ঘাতক প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বার ভাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের খাড়াকান্দা গ্রামের সোনা উল্লাহ মাতুব্বরের ছেলে।

নিহত আকবর আলী খয়রাতির পুত্রবধূ মঞ্জিলা বেগম বলেন, আমার শ্বশুর আকবর আলী খয়রাতি বাড়ির ওপর মুদি দোকানদারি করে তার শ্বশুর বাড়িতে থাকে। হঠাৎ দুপুরে আমার শাশুড়ির প্রথম স্বামী রমজান মাতুব্বর একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী আকবর আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে আমার শ্বশুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। আমি হত্যাকারীর বিচার চাই। 

গ্রামবাসী জানান, আসমা বেগমের সাথে ঘাতক রমজানের প্রথমে বিয়ে হয়। বিয়ের ৬–৭ বছর পর রমজান মাতুব্বর তার স্ত্রী আসমাকে বাবার বাড়ি রেখে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। এর দুই বছর পরে আসমা বেগম আকবর আলীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। কিছুদিন পরে রমজান ফিরে এলে আসমাকে সে আবার বিয়ে করে। এর কিছুদিন পর রমজান পুনরায় চলে গেলে দ্বিতীয় স্বামী আকবরকে বিয়ে করে বসবাস করতে থাকে। এ ঘটনা নিয়ে রমজানের সাথে আকবরের শত্রুতা ছিল।

ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত বলেন, শুনেছি আকবর আলী নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ১ম স্বামী রমজান আলী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল খাড়াকান্দা গ্রামে যাই। নিহতের মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। আজ সোমবার আকবর আলীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।