ঢাকা     সোমবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৮ ১৪৩১

পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদী রক্ষার দাবি

রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৭, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদী রক্ষার দাবি

আন্তর্জাতিক নদী দিবস উপলক্ষে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ‘নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে, আন্তঃসীমান্ত নদীতে বাংলাদেশের অধিকার’ প্রতিপদ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচি থেকে পদ্মা ও বড়ালসহ দেশের সব নদ-নদী রক্ষার দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) রাজশাহী জেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পদ্মা নদীর সঙ্গে অনেক শাখা নদী রয়েছে। পদ্মানদীসহ এসব নদীর পাড় দখল হয়ে গেছে। প্রভাবশালীরা ক্রমে এসব নদী দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এগুলো অবিলম্বে দখলমুক্ত করতে হবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, নদী মায়ের মতোই দেশের ভূমি, প্রকৃতি, গাছপালা, পশুপাখিসহ সবকিছুই প্রতিপালন করছে। অথচ দখল-দূষণসহ মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে নদীগুলো নানামুখী সংকটের মধ্যে পড়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের অনেক নদ-নদীর এখন রুগ্নদশা। অন্যতম নদী পদ্মারও করুণ অবস্থা।

আরো পড়ুন:

তারা বলেন, নদী নিয়ে একাধিকবার প্রকল্প গ্রহণ করলেও তা অপরিকল্পিত হওয়ায় এবং দুর্নীতি ও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার অভাবে জনগণের অর্থ লুটপাট এবং অপচয় হয়েছে। বক্তারা বলেন, নদী বাঁচাতে বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমন্বিত পরিকল্পনার আওতায় স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নিতে হবে।

বক্তারা বলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে নাটোরের লালপুর পর্যন্ত পদ্মানদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ৬৮টি স্লুইসগেট অচল হয়ে পড়েছে। এ কারণে বর্ষার মৌসুমে বন্যারমতো দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করে বক্তারা বলেন, ফারাক্কা বাঁধের কারণে সময়মতো পদ্মা নদীতে পানি থাকে না। বর্ষাতেও কাঙ্ক্ষিত পানি আসে না পদ্মায়। আবার শীত শুরুর আগেই পুরো নদী শুকিয়ে খালে পরিণত হয়। এ কারণে পদ্মার সব শাখা নদী ইতিমধ্যে মরে গেছে। অস্তিত সংকটে পড়েছে চারঘাটের বড়াল।

স্বেচ্চাসেবী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাপার রাজশাহী জেলার সভাপতি ও রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, রাজশাহীর সিনিয়র সাংবাদিক আকবারুল হাসান মিল্লাত, কেন্দ্রীয় সদস্য আফজাল হোসেন, বাপার জেলা শখার ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম নবী রনি, সোনিয়া বেগম, রোমানা সিদ্দিকা, সমাজকর্মী অপূর্ব শাখা, নারী নেত্রী সেলিনা বেগম, ওয়েব রাজশাহী শাখার সভাপতি আঞ্জুমান আরা, রাজশাহী সার্ভে ইনস্টিটিউটের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতা সুভাষ চন্দ্র হেমব্রন প্রমুখ। 

কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়