ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

সাভার-আশুলিয়ায় বেশিরভাগ কারখানা চালু, বন্ধ আছে ৫৫টি

সাভার প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
সাভার-আশুলিয়ায় বেশিরভাগ কারখানা চালু, বন্ধ আছে ৫৫টি

ঢাকার সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অধিকাংশ শিল্পকারখানা খোলা রয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এসব কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকেরা।

তবে আজ সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বিভিন্ন দাবিতে অন্তত ৫৫টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি রয়েছে নয়টি কারখানায় এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ৪৬টি কারখানা।

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ সূত্রে জানা যায়, বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। এছাড়াও অন্যান্য কিছু কারখানাও রয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। এছাড়াও আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী। কারখানা বন্ধ না রেখে চালু রাখলেই সমস্যা সমাধান হবে।’ 

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, ‘আজকে মোট ৪৬টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে। আর নয়টি কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য সব কারখানায় স্বাভাবিক কাজ চলছে। যেসব কারখানা বন্ধ আছে সেগুলো চালু করতে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। যাতে উৎপাদন চালু করা যায়। পারস্পরিক সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়ে যাতে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে আসে সেটার প্রচেষ্টা চলছে।’ 

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর আওতাধীন এলাকায় ১৮৬৩টি কলকারখানা রয়েছে। যার বেশিরভাগই পোশাক কারখানা। তবে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে এ অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছিল তীব্র অস্থিরতা। যদিও এ সপ্তাহের শুরু থেকে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। মঙ্গলবারও (২১ সেপ্টেম্বর) সেটি অব্যাহত আছে। বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন।

আরিফুল/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়